উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে শুধু অর্থনৈতিক বৈষম্যের বাইরেও কূটনৈতিক বিভিন্ন নীতিগত পার্থক্য ফের মাথাচাড়া দিতে পারে আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া কপ-২৬ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনে। ইতিমধ্যেই আশঙ্কা বেশ কিছু বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে এই সম্মেলনে ঠান্ডা লড়াই দেখা যেতে পারে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে আজ ৩১ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন, চলবে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ কম। অতীতে যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করা হয়েছে, তার অধিকাংশের দায়ও এই দেশগুলোর নয়। কিন্তু তারাই জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। কার্বন নিঃসরণ কমানোর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে এই দেশগুলির জন্য প্রয়োজন আর্থিক সহায়তা। যেসব দেশ কয়লানির্ভর, তাদের আরও সোলার প্যানেল দরকার। ভুক্তভোগী দেশগুলোর প্রয়োজন বন্যা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতির শিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোকে কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, তা নিয়ে সম্মেলনে জোর বিতর্ক হতে পারে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেরাই এই বিষয়ে কোনো নীতি প্রণয়ন করতে পারেনি।
২০০৯ সালে ধনী দেশগুলো বছরে দরিদ্র দেশগুলোকে ১০ হাজার কোটি ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু এই লক্ষ্য এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়নি। সম্মেলনে চীনের অঙ্গীকার গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে। চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় কার্বন নিঃসরণকারী দেশ। তা ছাড়া দেশটি বিশ্বজুড়ে কয়লাবিদ্যুতে বিপুল বিনিয়োগ করে আসছে। চীনসহ অন্য যেসব দেশ জীবাশ্ম জ্বালানির বড় উৎপাদনকারী, তারা এই জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে কত দ্রুত আগ্রহ দেখায়, সে ব্যাপারে পর্যবেক্ষকেরা নজর রাখবেন