বয়স অতিক্রম করেছিল ১২ বছর। সাধারণ সাইবেরিয়ান স্লেড ডগ হিসেবে নিতান্তই বয়স্ক সে। তবুও মানব জাতির বিপদের সময়ে যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ‘টোগো’, তা অবাক করে দিয়েছিল সবাইকে। ১৯২৫ সালে আলাস্কায় মহামারীর মতো ছড়িয়ে পরেছিল ডিপথেরিয়া। প্রতিষেধক কী ভাবে পৌঁছে দেওয়া হবে আক্রান্তের কাছে, তা নিয়ে ভয়ানক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। কারণ, তৎকালীন যোগাযোগ ব্যবস্থা মোটেই ভালো ছিল না। রেল লাইনের ব্যবস্থাও ছিল না। তাই অনেক ভেবে একদল স্লেড ডগকেই দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়ার। মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় অনেক স্লেড ডগ হার মানলেও, হার মানেনি ‘টোগো’। মাত্র ১০০ ঘণ্টায় ৫৫০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে ডিপথেরিয়ার প্রতিষেধক পৌঁছে দিয়েছিল স্লেড ডগ ‘টোগো’। এই ঘটনার ৪ বছরের মাথায় মৃত্যু হলেও ‘টোগো’র নাম ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বজুড়ে। নিউ ইয়র্কে টোগোর একটি মূর্তি পর্যন্ত রয়েছে। ২০১৯ সালে হলিউডের একটি সিনেমাও তৈরি হয়েছিল টোগোর অসাধারণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে।