গোটা পৃথিবীটা যদি একসময় মিথ্যেবাদীতে ভরে যায়, সত্যের লেশ মাত্র না থাকে, তাহলে কী বিপর্যয় নামতে পারে? মিথ্যেই কি বুমেরাং হতে পারে মিথ্যেবাদীদের কাছে? নাকি সত্য চিরকালের জন্য বিদায় নেবে? কলির জমানায় এটাই তো সবচেয়ে বড়ো প্রশ্ন। কিন্তু উত্তর মেলা দুষ্কর। তবে আভাস মিলবে পার্থপ্রতিম বিশ্বাসের শর্ট ফিল্ম ‘কলির কেলোবাজি’ দেখলে।
কলহপ্রিয় কলির রাজত্বে শুধুই অশান্তি। মিথ্যের ঘন অন্ধকারে আচ্ছন্ন সত্যের আলো। লোভ-লালসা, প্রতারণা, উচ্ছৃঙ্খলতার আবর্তে ঘুরপাক খেতে খেতে দিশাহারা নাগরিক জীবন। শাসকের রাজনীতির ভয়াল গ্রাসে দমবন্ধ অবস্থা সাধারণ মানুষের। ন্যায় সততার দফারফা করে এক মহা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কলির রাজত্বে। সন্ত্রাসের বিষ বাষ্পে ত্রস্ত জনতা। বিবেক মানবিকতা বর্জিত এক চরম স্বার্থপরতার বেড়াজালে আবদ্ধ আপামর জনসাধারণ। ক্ষমতার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত একচ্ছত্র অধিপতি অত্যাচারী কলির মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি করার সাহস কারও নেই, প্রতিবাদ তো দূর অস্ত্। কিন্তু ভয়াবহ এই অপশাসনের শেষ কোথায়? এ প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর মিলবে পার্থপ্রতিম বিশ্বাসের পরিচালনায় নির্মিত কলির কেলোবাজি শর্ট ফিল্মে। চিত্রনাট্যে নানা খাতে মোড় নিয়েছে ঘটনাপ্রবাহ। যুক্তিপূর্ণ গোছানো দৃশ্যের টানটান মন টানা পরম্পরায় সমৃদ্ধ এই গল্প। আগামী ১৫ এপ্রিল পিপিবি মিডিয়া ইউটিউব চ্যানেলে এই শর্ট ফিল্মটি মুক্তি পাবে। এখন দেখার, মিথ্যের ঘোরের বিরুদ্ধে সত্যের চেতনার লড়াই দর্শকদের কাছে কেমন সাড়া ফেলে।
সুরথ রায়ের আলোকসম্পাতে সমীর দে-র ক্যামেরার সামনে কলির চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুদীপ চক্রবর্তী। তার ডানহাত কেলোর ভূমিকায় দেখা যাবে সুজয় মজুমদারকে। অন্য অভিনেতাদের মধ্যে রয়েছেন সুতপা মিত্র, শংকর মণ্ডল, দিবস মণ্ডল, তুষার চন্দ, গৌতম চক্রবর্তী, কমলেশ মণ্ডল, বাবলু দাস, অর্ক চট্টোপাধ্যায়, সুবোধ ঘোষ, আনারুল মোল্লা, গৌতম চট্টোপাধ্যায় ও অর্জুন সরদার। রূপসজ্জার দায়িত্ব সামলেছেন বাসুদেব ব্রহ্ম। আর নিপুণ ভাবে দৃশ্যগুলি সাজিয়ে দৃষ্টিনন্দন ও শ্রুতিমধুর করে তুলেছেন সম্পাদক প্রশান্ত বিশ্বাস। আবহ-সংগীতও তাঁরই সৃষ্টি। ছবির কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা স্বয়ং পরিচালকের।