রক্ষাকবচ মেলেনি। ফলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে বুধবার বিকেলে শেষপর্যন্ত সিবিআইয়ের মুখোমুখি হলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআই সূত্রে খবর, মোট ৪০টি প্রশ্নের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, প্রথমেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পাসপোর্ট নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর সহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য নেওয়া হয়। তারপর শুরু হয় বয়ান রেকর্ডের প্রক্রিয়া।
সূত্রের দাবি, শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও তথ্য তাঁর কাছে ছিল কিনা, সেই বিষয়ে সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের প্রশ্নের মুখে পড়েন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও তাঁর তৈরি বিশেষ উপদেষ্টা কমিটির প্রধান এসপি সিনহা সহ অন্যান্য সদস্যর ভূমিকা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর সিবিআই সূত্রে। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী এই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত ছিলেন কিনা, সেই বিষয়টিও জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই জেরা প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “আইন আইনের পথেই চলবে। যদি কেউ ব্যক্তিগত ভাবে কোনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকেন, তার দায় দল বা সরকার নেবে না।”