জয়মাল্য দেশমুখ
বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে সদ্য প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কে কে’র। আর এদিনই নতুন কবিতা লিখে রুপঙ্কর-কে কে বিতর্কে নয়া মাত্রা যোগ করলেন কবীর সুমন। কে কে’র গান নিয়ে রুপঙ্করের মন্তব্যের জেরে কার্যত তোলপাড় পরে গিয়েছে গোটা সংস্কৃতি জগতে। কেউ বা সরাসরি মুন্ডপাত করছেন রুপঙ্করের, কেউ বা পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন। তবে কবীর সুমন নিজের কবিতার মাধ্যমে সমস্ত দ্বন্দ ঘুচিয়ে দেওয়ার প্রয়াস করলেন বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
এদিন একটি ছোট্ট কবিতা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন কবীর সুমন। তিনি লিখছেন,
“রুপংকরের কথায় ওরেব্বাস,
কেউ দেয় গাল কেউ রেগে খানখান
সন্ধ্যাকে লাথি মারল যখন কেউ
কেঁদেছিল একা বাংলাভাষার গান।
আমার চেয়েও কুড়ি বছরের ছোট
আমারই তো কথা তোমার আগেই যাওয়া
কিসের যে এতো তাড়া ছিল ছেলেটার
কাল হলো গান কাল হলো গান গাওয়া।
রুপংকরের কথায় রাগোনি জানি
বুঝেছ ছেলের অসহায় অভিমান
পরের জন্মে ফিরে এসো নজরুলে
গাইবে দুজনে তাঁরই বাংলা গান।”
যথার্থ শিল্পী হিসেবে হয়তো কবীর সুমন এই ছোট্ট কবিতার মাধ্যমে সমস্ত বিতর্ক এক নিমেশে উড়িয়ে দিতে চাইলেন। বাংলা ভাষা ও বাংলা গানের সপক্ষে কথা বলতে চাওয়া রুপঙ্করের পাশেও দাঁড়ালেন। মনে করিয়ে দিলেন, বাংলার শিল্পী ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের অপমানের কথা। যা নিয়ে আগেও একাধিকবার সোচ্চার হয়েছিলেন কবীর সুমন।
অন্যদিকে অনুজ গায়ক কে কে’র প্রতি স্নেহ মিশ্রিত ভালোবাসাও ঝড়ে পড়ল কবিতার প্রতি ছত্রে। পরের জন্মে আবার নজরুল মঞ্চে নিজের গানের ডালি নিয়ে ফিরে আসার প্রার্থনা জানালেন কবীর। হয়তো বাংলা ও বলিউডের গানকে লড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে কবিতার মাধ্যমে বলিষ্ঠ প্রতিবাদী অবস্থান নিলেন কবীর সুমন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই কার্যত ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই কবিতা।