এবছর মাধ্যমিকে যুগ্মভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেছে দুই ছাত্র। একজন বাঁকুড়ার রাম হরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনের পড়ুয়া অর্ণব ঘড়াই। অন্যজন বর্ধমান সিএমএস স্কুলের রৌনক মণ্ডল। দু’জনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। অর্ণব ও রৌনক, দু’জনেই জানিয়েছে, প্রথম দশে থাকার বিষয়ে আশাবাদী থাকলেও একেবারে প্রথম হবে, এতটা আশা করেনি তারা। স্বাভাবিকভাবেই ফল প্রকাশের পর আনন্দে আত্মহারা দুই কৃতী।পরীক্ষার ফল জানার পরই এদিন সবার প্রথমে মহারাজদের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছে অর্ণব। সাফল্যের কৃতিত্ব স্কুলের শিক্ষকদেরই দিয়েছে সে। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে বাড়ি অর্ণবের। সে জানায়, করোনায় বাড়ি চলে যেতে হয়েছিল তাকে। সেই সময় স্কুলের স্যরেরা অনলাইন ক্লাস নিতে শুরু করেন। তাতেই পড়াশোনার ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। অর্ণব বলে, স্কুলের স্যাররা সবসময় বলতেন পাঠ্য বই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তে। আর সেই পরামর্শ মেনেই এই সাফল্য। ইতিমধ্যেই একাদশ-দ্বাদশে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে ভর্তি হয়েছে অর্ণব। অন্যদিকে রৌনকও জোর দিয়েছে পাঠ্য বই খুঁটিয়ে পড়াতেই। সে বলে, “টেস্ট পেপার খুঁটিয়ে পড়েছিলাম। আর কোয়েশ্চন ব্যাঙ্ক থেকেও প্রশ্ন উত্তর করেছিলাম। বাবা মা ও শিক্ষকদের পরামর্শ মেনে খুঁটিয়ে পড়েছি পাঠ্য বই।”পড়াশুনোর পাশাপাশি গান করতে ভাল লাগে রৌনকের। নেশা গল্পের বই পড়া আর ভলিবল খেলা। আগামী দিনে চিকিৎসক হতে চায় বর্ধমান সিএমএস স্কুলের এই কৃতী।