১৯১৭ সালের শেষের দিক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনারত সত্যেন্দ্রনাথ বসু। কোয়ান্টাম বলবিদ্যা ও সুক্ষ্ম কণার সংখ্যা গণনা সংক্রান্ত সূত্র পড়াতে গিয়ে গলদ নজরে আসে তাঁর। দীর্ঘদিন ধরে গবেষণার পর ‘ফিলসফিক্যাল’ পত্রিকায় পাঠান নিজের ‘প্ল্যাঙ্কস ল দ্য হাইপোথিসিস’ শীর্ষক গবেষণাপত্রটি। বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সেই গবেষণাপত্রই বাতিল করে দিয়ে ‘ফিলসফিক্যাল’ পত্রিকাটি।
১৯২৪ সালের আজকের দিনটিতেই সত্যেন্দ্রনাথ নিজের গবেষণাপত্রটি সরাসরি পাঠিয়ে দেন আইনস্টাইনের কাছে। স্বয়ং আইনস্টাইন বাঙালি বিজ্ঞানীর সেই গবেষণাপত্রকে স্বীকৃতি দেন। এরপরেই বদলে যায় পৃথিবীর পদার্থবিদ্যার ইতিহাস। আজ সত্যেন্দ্রনাথ দত্তর সেই গবেষণাকেই পৃথিবী চেনে ‘বোস-আইন্সটাইন’ তত্ত্ব হিসেবে। এই ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণ করেই ডুডলের মাধ্যমে বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ দত্তকে শ্রদ্ধা জানাল গুগল।