গয়েশপুরের উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে চুক্তির ভিত্তিতে চাকরি করছিলেন নাসিরুদ্দিন শেখ নামের এক শিক্ষক। স্কুলের পরিচালন সমিতি তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতেই নাসিরুদ্দিন শেখ দারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। আর সেই মামলাতেই বুধবার চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন ওই শিক্ষক। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, এটা কি মগের মুলুক নাকি! এক জন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকের জন্য ওই পদে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে না!
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত গয়েশপুর উচ্চ-প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন ওই শিক্ষক। যার ফলে ওই শিক্ষকের পদে কোনও স্থায়ী ব্যক্তিকে নিয়োগ করা যায় নি। আর এই তথ্য পেয়েই চরম ক্ষুব্ধ হন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। তিনি প্রশ্ন করেন, কেন এতদিন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করে স্থায়ী চাকরির পদটিকে অবহেলা করা হল! স্থানীয় বিধায়কের সুপারিশেই কি এতদিন চাকরি করলেন ওই চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক! এরপরেই চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নাসিরুদ্দিন শেখের মামলা খারিজ করে দেন বিচারপতি।