মুকুল রায় রয়েছেন বিজেপিতেই। তৃণমূলের মঞ্চে তাঁকে দেখা যাওয়া নেহাতই রাজনৈতিক সৌজন্য। বুধবার স্পষ্টই জানিয়ে দিলেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইন কার্যকর করার যে আর্জি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীরা, তা আরও একবার খারিজ করে দিলেন স্পিকার।এর আগেও একবার বিধানসভার স্পিকার দীর্ঘ শুনানির শেষে রায় দিয়েছিলেন মুকুলবাবু অন্য দলে গিয়েছেন তার কোনও প্রমাণ নেই। তাঁর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, সৌজন্যের জন্য অন্যদলের মঞ্চে গিয়েছিলেন মুকুলবাবু। কিন্তু বিজেপি ছেড়ে অন্য দলে তিনি যোগ দেননি।কিন্তু গত বছর ১১ জুন তৃণমূল ভবনে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মুকুলের তৃণমূলে ফেরার উল্লেখ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে বিষয়টি পুণর্বিবেচনার জন্য ফের বিধানসভার অধ্যক্ষর কাছে আসে। তারপর আবার শুনানি চলে। সেই শুনানি শেষেই এদিন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, মুকুল রায় বিজেপিতেই রয়েছেন।বিমানবাবু বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী এবং অম্বিকা রায় পিটিশন ফাইল করেছিলেন। এক, মুকুল রায়ের বিধানসভার সদস্যপদ খারিজ। দুই, তাঁকে পিএসি চেয়ারম্যান থেকে সরিয়ে দেওয়া। এ বিষয়টি হাইকোর্টে গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টেও উঠেছিল। সুপ্রিম কোর্ট ফের হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছিল। হাইকোর্টের বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন, এক মাসের মধ্যে বিষয়টির মীমাংসা করতে। এদিন সেই রায় দেওয়া হল।এই মামলায় স্পিকার দু’পক্ষের কথা শুনেছেন। ইলেক্ট্রনিক্স এভিডেন্সের কথা বলা হয়েছিল। তাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। তারপর এদিন রায় দেওয়া হয়, মুকুল রায় দলবদল করেননি। অর্থাত্ তিনি বিজেপিতেই আছেন।