Sambad Samakal

Sonu Sud: আর নেগেটিভ চরিত্র নয়, বাস্তবের হিরো এখন পর্দাতেও পজেটিভ চরিত্রেই

Jun 8, 2022 @ 2:43 am
Sonu Sud: আর নেগেটিভ চরিত্র নয়, বাস্তবের হিরো এখন পর্দাতেও পজেটিভ চরিত্রেই

সোমনাথ লাহা

দীর্ঘ ২৩ বছরের অভিনয় কেরিয়ার তাঁর। এই প্রথমবার যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে কাজ করলেন অভিনেতা সোনু সুদ। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’-এ চাঁদ বরদাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোনু। ইতিহাস-নির্ভর ছবিতে তাঁর উপস্থিতি নজর কেড়েছে। সোনু বলেছেন, “আমার মা ইতিহাসের অধ্যাপক ছিলেন। তাই যে চরিত্রগুলি পর্দায় করার সুযোগ পাই, তার গল্প ছোটবেলা থেকেই মায়ের মুখে শুনে বড় হয়েছি। আজকের প্রজন্ম তো সোশ্যাল মিডিয়ায় সব কিছু দেখে। আমরা ছবির মাধ্যমে এই সব ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করি।” অভিনেতা আর‌ও জানিয়েছেন, এর আগেও যশরাজ ফিল্মসের কাছ থেকে অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও চরিত্রটা ঠিক মনে ধরেনি তাঁর। তাই সে বার আর কাজ করা হয়নি। “একটা সময় ছিল, যখন আমাকে শুধুই নেগেটিভ চরিত্রের প্রস্তাব দেওয়া হত। এখন বিষয়টা উল্টে গিয়েছে। এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পজিটিভ চরিত্রের অফার আসে আমার কাছে,”বলেছেন সোনু। আগামী মাস থেকে ‘ফতেহ’ ছবিটির শুটিং করবেন অভিনেতা। আসলে সোনুর পরিচয় এখন আর শুধুমাত্র অভিনেতা নয়, সাধারণ মানুষ তাঁকে বিভিন্ন নামে ডাকেন। তার মধ্যে রয়েছে, ‘মসীহা’, ‘বড়ে দিলওয়ালা’, ‘আসলি হিরো’-র মতো নামগুলি। আসলে কোভিড-কালে সোনুর জনসেবামূলক কাজের প্রভাব পড়েছে তাঁর ফিল্ম কেরিয়ারেও। একাধিক ভাষায় ৯০টির‌ও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন সোনু। তাঁর কথায়, “মানুষের জন্য কাজ করে যে আনন্দ পাই, তার সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা হয় না। মুখে সাহায্য করার কথা অনেকেই হয়তো বলেন। কিন্তু আমি চাই, আমার মতোই আরও অনেকে কাজেও এগিয়ে আসুন। ছবি না করলে, মানুষের চোখের আড়ালে চলে গেলে সকলে ভুলে যাবে এক সময়ে। কিন্তু কাজগুলো থেকে যাবে।” সোনু এই মুহূর্তে ঝাড়খণ্ডে একটি স্কুল তৈরি করছেন। শুধু তাই নয়। শিরডিতে একটি বৃদ্ধাবাস এবং একটি অনাথাশ্রম‌ও তৈরি করছেন। এখানেই শেষ নয়। মুম্বইতে খুব শিগগিরই ৭০-৮০টি বেডের পরিকাঠামো-যুক্ত একটি হাসপাতাল খোলার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর। দেশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে রয়েছে অভিনেতার টিম। আসলে ফিল্মের বাইরেও তাঁর যে একটা জীবন রয়েছে গত দু’বছরে তা ভালোভাবে উপলব্ধি করেছেন সোনু। অভিনেতা জানিয়েছেন, ““আমার দলের ছেলেমেয়েরা তো আছেই, পাশাপাশি আমার ছেলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পাওয়া নানা অনুরোধ নিয়মিত নজরে বেশি রাখে। আমার সঙ্গে সে সব নিয়ে আলোচনাও করে। আমাদের কাজ যে ওকেও অনুপ্রাণিত করেছে, দেখে গর্ব হয়।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *