নোটিশ না পাঠিয়ে কেন গ্রেফতার করা হল অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে? শুক্রবার গরু পাচার মামলার তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিককে এই প্রশ্নে শোকজ করলেন করলেন বিচারক। আগামী ১৭ জুন তদন্তকারী অফিসারকে লিখিত ভাবে শোকজের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। অন্যদিকে, বিচারক এদিন ধৃত সায়গল হোসেনের জামিনের আবেদন নাকচ করে সাতদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিন আসানসোল সিবিআই আদালতে কড়া নিরাপত্তায় চলে শুনানি। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা ও সঞ্জীব কুমার দাঁ এই গ্রেফতারির পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এজলাসে অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা বলেন, এই গ্রেফতার বেআইনি। এক্ষেত্রে একজনের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, কাউকে গ্রেফতার করতে হলে, সিআরপিসির ৪১ নম্বর ধারায় নোটিশ দিতে হবে। সেটা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এক্ষেত্রে তা করা হয়নি। আইন মানা হয়নি এ্যারেস্ট মেমো দেওয়ার ক্ষেত্রেও। যদিও সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমার নানা ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, আইন মেনেই সবকিছু করা হয়েছে। কিন্তু এক ঘণ্টারও বেশি সময় সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক তদন্তকারী সিবিআই অফিসারকে শোকজ করেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *