সাত ঘণ্টার অবরোধে ট্রেনের কামরাতেই শুক্রবার প্রাণ গিয়েছে মুমূর্ষুর। আর তারপরেই শনিবার বিক্ষোভকারীদের কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়ে দিলেন, হিংসা, অশান্তি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। বিক্ষোভকারীদের কাছে তাঁর প্রশ্ন, বিজেপির ‘পাপে’র ফল সাধারণ মানুষ কেন ভুগবে?
হজরত মহম্মদকে নিয়ে দিল্লির বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যে দেশ জুড়েই উঠেছে নিন্দার ঝড়। প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে গোটা দেশের ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ। বিজেপি নেত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বাংলা তথ্য দেশের ধর্মনিরপেক্ষ মানুষও। ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে বাংলার সংখ্যালঘু সমাজেও। মানুষের মধ্যে বিভাজন ঘটিয়ে ঘৃণার রাজনীতির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। দাবি করেছেন নূপুর শর্মার গ্রেফতারির। তবে পাশাপাশি তিনি বাংলার মানুষকে শান্ত থাকার আবেদনও জানিয়েছিলেন। হিংসা থেকে বিরত থাকার আর্জি জানিয়েছিলেন। বিক্ষোভ, অশান্তিতে শহর অবরুদ্ধ না করার আবেদনও জানিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও গত কয়েকদিনে কলকাতা, হাওড়া সহ অবরোধ, বিক্ষোভে অশান্ত হচ্ছে রাজ্য। শুক্রবারই টানা সাত ঘণ্টার অবরোধে আটকে পড়ে ট্রেনের কামরাতেই মৃত্যু হয়েছে অসুস্থ যাত্রীর। এই পরিস্থিতিতে এদিন টুইট করে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাফ জানান, “এসব হিংসাত্মক ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবারই নবান্ন থেকে কার্যত হাত জোড় করে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন জানিয়েছিলেন, “দয়া করে রাস্তা অবরোধ করবেন না। আন্দোলন করতে হলে দিল্লি গিয়ে করুন। রাস্তা অবরোধ তুলে নিন, মানুষকে ঘরে ফিরতে দিন।” কিন্তু তাঁর সেই আবেদন উপেক্ষা করে শুক্রবারও দিনভর চলে বিক্ষোভ। বরং সেই বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। দফায় দফায় জ্বলে আগুন। যার জেরে একাধিক এলাকায় জারি করতে হয় ১৪৪ ধারা। বন্ধ করা হয় হাওড়ার ইন্টারনেট পরিষেবা। আজ, শনিবারও বিক্ষোভে ইতি পড়েনি। তাই এবার টুইটে হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা।
তিনি লিখেছিলেন, “আগেও বলেছি, দু’দিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে এবং তারা দাঙ্গা করাতে চায়। কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না এবং এসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?”