অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে রবিবার সেনার তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এরপরেই সেনার পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হল। ল্যাফটেন্যান্ট জেনারেল অনীল পুরী জানিয়েছেন, “ভারতীয় সেনায় কমবয়সী নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। তাই প্রকল্প বাতিলের কোনও প্রশ্নই নেই। বহুদিন ধরে সেনা এই পরিকল্পনা করছিল, এখন তা বাস্তবায়িত হচ্ছে।”
এর সঙ্গেই তিন সেনা প্রধানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ডিসেম্বর মাসে ২৫ হাজার অগ্নিবীরকে নিয়োগ করা হবে। ২০২৩ সালেও আরও ৪০ হাজার নিয়োগ হবে। ২১ নভেম্বর নৌ সেনায় অগ্নিবীরদের প্রথম ব্যাচের ট্রেনিং শুরু হবে। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরও অগ্নিবীর হিসেবে নিয়োগ করা হবে। আগামী দিনে ১ লক্ষ অগ্নিবীর নিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেনার অন্যান্য কর্মীদের মতোই সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাবেন অগ্নিবীররা। ডিউটির সময়ে কেউ শহীদ হলে ১ কোটি টাকা পাবে, তাঁর পরিবার।
অন্যদিকে সেনার পক্ষ থেকে এদিন স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, যাঁরা বিভিন্ন রাজ্যে হিংসাত্মক বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন, তাদের নিয়োগ মিলবে না। কারণ সেনায় বিশৃঙ্খলার কোনও স্থান নেই। অগ্নিবীর হিসেবে নিয়োগের আগে কোনও ধরনের বিক্ষোভে না থাকার একটি সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে আবেদনকারীকে। এছাড়াও প্রয়োজন হবে পুলিশ ভেরিফিকেশনের। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, পরিস্থিতি জটিল দেখেই এবার সরকারের পক্ষ থেকে অগ্নিবীর অসন্তোষ মেটাতে সরাসরি সেনা বাহিনীর সদস্যদের সামনে নিয়ে আসা হল।