দায়িত্ব ও পদ নিয়েই তৃণমূলে ফিরছেন শোভন-বৈশাখী। বুধবার নবান্নে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে এবিষয়ে কার্যত স্পষ্ট ইঙ্গিতই দিলেন তাঁরা। শোভনকে পাশে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বৈশাখী বললেন, “দিদির সঙ্গে কথা হয়েছে। অপেক্ষা করছি, দিদি দায়িত্ব দিলে কাজ শুরু করব।”
একসময় ব্যক্তিগত জীবনের নানা সমস্যার টানাপোড়েনে তৃণমূল ছাড়েন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ছাড়েন তিন দফতরের মন্ত্রিত্ব ও কলকাতার মেয়র পদও। পরবর্তীতে ‘বান্ধবী’ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে বিজেপিতেও যোগ দেন তিনি। তবে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কখনও কোনও আলটপকা মন্তব্য করতে শোনা যায়নি তাঁকে। বরং, রাজনৈতিক দূরত্ব বাড়লেও মমতার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিলই প্রিয় ‘কাননে’র। অন্যদিকে, বিজেপিতে গেলেও বাংলার গেরুয়া শিবিরের সঙ্গেও কোনওদিনই মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি শোভন-বৈশাখীর। বরং তা ছিল তিক্ততায় ভরা। সব মিলিয়ে তাঁদের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে অনেকদিন ধরেই জল্পনা ছিলই। সূত্রের খবর, এর আগেও মমতার সঙ্গে এনিয়ে কথা হয়েছিল বৈশাখীর। অবশেষে বুধবার নবান্নে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন শোভন-বৈশাখী। আলোচনা যে ইতিবাচক, বৈঠক থেকে বেরিয়েই সেই ইঙ্গিত দিলেন শোভন-বৈশাখীও। আর তার পরেই শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। নতুন দায়িত্ব ও পদ নিয়ে তৃণমূলে ফেরার যে ইঙ্গিত দিয়েছেন বৈশাখী, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। কেউ বলছেন, প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পান্ডের মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করতে পারেন মমতা। আবার কারও ধারণা, দক্ষ সংগঠক শোভনকে এখুনি জনপ্রতিনিধি না করে সাংগঠনিক কোনও পদেই বসাতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কোনও দায়িত্ব পেতে চলেছেন বৈশাখীও। এখন দেখার, শোভন-বৈশাখীর ওপর আদতে কোন দায়িত্ব দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।