চোখ দু’টি তাঁর বড় প্রিয়। এই চোখ দিয়েই গেঁথেছেন চিত্র পরিচালনার খুঁটিনাটি। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছেন প্রকৃতি, পর্যবেক্ষণ করেছেন মানুষের জীবনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ঘটনা, চালচলন। আর সেসবের মিসেলেই তাঁর উর্বর মস্তিষ্ক থেকে তৈরি হয়েছে সিনেমার চালচিত্র। সিনেমাপ্রেমী দর্শক তথা সমাজকে উপহার দিয়েছেন একের পর এক অমর সৃষ্টি। আজ তিনি চলে গেছেন। তবে মৃত্যুর পরে শরীর নিথর হয়ে গেলেও তাঁর চোখের এই নিরন্তর খুঁজে বেরানো কিন্তু চলবে। তাঁর চোখে এবার দৃষ্টি পাবেন অন্য কেউ। অন্ধকারের অবসান ঘটিয়ে আলো আসবে কারও জীবনে। জীবিতকালে এমনটাই চেয়েছিলেন পরিচালক। তাঁর সেই ইচ্ছাকে সম্মান দিয়েই সোমবার এসএসকেএমে প্রয়াত চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদারের চোখ থেকে কর্নিয়া সংগ্রহ করল বিশেষজ্ঞ দল। তবে প্রয়াত পরিচালকের চোখে কে দৃষ্টি ফিরে পাবেন, নিয়মের ফাঁসে সেই তথ্য রয়ে যাবে অজানাই।
এরপর তাঁর মরদেহ রওনা হয় টালিগঞ্জের এনটি ওয়ান স্টুডিওর উদ্দেশে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ রাখা হয় মরদেহ। শ্রদ্ধা জানান টলিউডের প্রবীণ থেকে নবীন কলাকুশলীরা। তবে কোনও ফুলমালা নয় বলেই ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়েছে। বিকাল সাড়ে চারটা-পাঁচটা নাগাদ মরদেহ আবার এসএসকেএম এর অ্যানাটমি বিভাগে আনার কথা। সেখানেই মরণোত্তর দেহদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।