শেষ পর্যন্ত গদি ছাড়তে বাধ্য হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, গত চব্বিশ ঘণ্টায় পদত্যাগ করেছিলেন মোট চল্লিশ জন মন্ত্রী। ফলে সরকার বাঁচানোই এক প্রকার দায় হয়ে গিয়েছিল বরিসের কাছে। শেষ পর্যন্ত নিজের পদ থেকেই সরে যেতে বাধ্য হলেন তিনি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সাধারণ নির্বাচনের জল্পনা।
জানা যাচ্ছে, নিজের দলের মধ্যেই ক্রমশ কোনঠাসা হয়ে পড়ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ক্রিস পিনচার ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার সমালোচনা করে পদত্যাগ করেছিলেন স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রীরা। এরপরেই কার্যত পদত্যাগের হিড়িক পড়ে গিয়েছে ব্রিটিশ মন্ত্রীদের মধ্যে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পক্ষে সরকার চালিয়ে নিয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ছিল।
ব্রিটেনের বিরোধী লেবার পার্টির পক্ষ থেকেও বরিসের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সাধারণ ব্রিটিশ নাগরিকদের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়েছিল। আর সেই ক্ষোভের আঁচ পেয়েই ক্ষমতা থেকে সরে গেলেন বরিস জনসন।