জনরায়ে নির্বাচনে জিতে কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকেই এলাকার উন্নয়নে ধারাবাহিক কাজ করে চলেছেন কলকাতা পুরসভার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী দাস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে বাস্তবেই মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছেন সরকারি পরিষেবা, দুয়ারে হাজির করেছেন স্বাস্থ্য পরিষেবাও। ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আয়োজন করে চলেছেন দুয়ারে সরকার ক্যাম্প, স্বাস্থ্য শিবির। এবার ওয়ার্ডের শিশু ও মহিলাদের চিকিৎসায় জোর দিলেন কাউন্সিলর মৌসুমী দাস।
শনিবার সকালে অভিজাত আবাসন সাউথসিটির ঠিক পেছনে রংকল বস্তিতে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য ও রক্ত পরীক্ষা শিবিরে নানা বিষয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকলেও মূল ফোকাস ছিল শিশু ও মহিলাদের চিকিৎসাতেই। শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ যেমন ছিলেন, এমনই ছিলেন বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞও। এছাড়া ৩০ পেরোলেই মহিলাদের হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। সেই কারণে বিনামূল্যে হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল শিবিরে। ছিলেন অর্থোপেডিক, চক্ষু, জেনারেল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো পুরসভার তরফে বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ওষুধও। নিখরচায় করা হয়েছে রক্তের কোলেস্টরল, থাইরয়েড এবং সুগার নির্ণয়ও।
তবে শুধু রংকল এলাকাই নয়, এদিনের স্বাস্থ্য শিবিরে পরিষেবা নিয়েছেন ওয়ার্ডের প্রায় ২০০ মানুষ। এদিনের স্বাস্থ্য শিবিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে রাসবিহারীর বিধায়ক তথা কলকাতার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, “৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী নিয়মিত বিভিন্ন পাড়ায় এই ধরনের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করছেন। এর ফলে একদম সাধারণ মানুষের দুয়ারে আমরা স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে পারছি। এই ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির পাড়ায় পাড়ায় আরও অনুষ্ঠিত হলে সরকারি হাসপাতালের ওপর চাপ কমবে।”
এদিনের স্বাস্থ্য শিবিরের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় ছিল কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে বিশেষ ভাবে সাহায্য করেছে এএমআরআই হসপিটাল। সহযোগিতা করেছে স্থানীয় প্যাথকাইন্ড ল্যাবরেটরি ও সিলভারলাইন আই হসপিটাল। এএমআরআই হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার শ্যাম সুন্দর দে বলেন, “পুরমাতা মৌসুমী দাসের অনুরোধে আমাদের হাসপাতালের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরে মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছেন। আগামী দিনেও মানুষের স্বার্থে আমরা এই ধরনের কাজে পাশে থাকার চেষ্টা করব।”
এদিনের স্বাস্থ্য শিবির থেকে রংকল এলাকার বাসিন্দাদের হাতে একটি বিশেষ হেল্থ কার্ডও তুলে দেওয়া হয়। যার মাধ্যমে প্রতি রবিবার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ পাবেন দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ। এছাড়া বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল টেস্টেও মিলবে বিশেষ ছাড়।
যাঁর উদ্যোগে এই আয়োজন, ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের সেই কাউন্সিলর মৌসুমী দাস বলেন, “আমরা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। গোটা ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়ায় প্রতি মাসে একদিন করে এই বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির চলবে। ওয়ার্ডের স্থানীয় নাগরিক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ কর্মীরা এই উদ্যেগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করছেন।”