একদিন আগেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ২১ জুলাইয়ের পরের দিনই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ইডির হানাকে “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা” বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। কিন্তু তারপর ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই ঘটে গিয়েছে ঘটনার ঘনঘটা। সামনে এসেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের তথ্য। তাঁর ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে ২১ কোটি নগদ টাকা, ৫০ লক্ষের সোনা। রাতভর ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার সকালে গ্রেফতার হয়েছেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় থেকে পার্থর আপ্ত সহায়ক সুকান্ত আচার্য। আর ঠিক এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা যখন উল্লাস প্রকাশ করছেন, তখনও মন্ত্রী তথা দলের মহাসচিব প্রসঙ্গে কোনও বিবৃতি দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী, মুখে কুলুপ এঁটেছেন দলের নেতা-মন্ত্রীরাও। এই পরিস্থিতিতেই সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের মুখে বিস্ফোরক পার্থ।
শনিবার সকালে গ্রেফতারির পরে জোকায় ইএসআই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। প্রায় দেড় ঘণ্টা সেখানে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে তাঁকে বের করে নিয়ে যান ইডির আধিকারিকরা। সেই সময়েই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কার্যত বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যর বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
হাসপাতালের গেটের বাইরে অপেক্ষারত সাংবাদিকরা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কী তাঁর কোনও কথা হয়েছে? উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু পাইনি।” আর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই শুরু হল নতুন বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হওয়া দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ইতিমধ্যেই দূরত্ব তৈরি করে ফেলেছেন স্বয়ং তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো! উত্তর দেবে সময়।