মন্ত্রিসভা থেকে কি এবার ইস্তফা দিতে চলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? মঙ্গলবার রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী বিধানসভার গাড়ি ফিরিয়ে দেবার পর থেকে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।
এদিনই পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে পাওয়া গাড়ি বিধানসভায় ফিরিয়ে দিয়েছেন পার্থ। উল্লেখ্য, শুক্রবার দু’দফায় ২৭ ঘণ্টা জেরার পর এসএসসি দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতারির পর শনিবার জোকা হাসপাতালের বাইরে সংবদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থ জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। পরে জানা যায়, ইডির কাছে অ্যারেস্ট মেমোয় নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ও ফোন নম্বর উল্লেখ করে যোগাযোগ করতে চেয়েছিলেন পার্থ। কিন্তু চারবার ফোন করলেও মুখ্যমন্ত্রী ফোন ধরেননি। এদিকে গ্রেফতার হাওয়া দলের মহাসচিব তথা রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ না করলেও শুরুতে নরম মনোভাব দেখিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে জানানো হয়েছিল, অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া অবধি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দলীয় ভাবে ও সরকারি ভাবে কোনও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। কিন্তু অ্যারেস্ট মেমোয় মুখ্যমন্ত্রীর নাম দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তি বাড়ে তৃণমূলের। তিনদিন পর সোমবার বঙ্গ ও বঙ্গভূষণ প্রদানের মঞ্চে এবিষয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কড়া বার্তা দিয়ে সাফ জানান, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত প্রমাণ হলে মন্ত্রীকেও রেয়াত করবেন না। এরপর মঙ্গলবার সকালে ভুবনেশ্বর থেকে ফেরার পথে দমদম বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রীর কথা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ইডি হেফাজতে থাকা পার্থ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, “ঠিকই বলেছেন” এই শব্দ দুটির মধ্যে বেরিয়ে এসেছে অভিমানের পাহাড়। আর তার জেরেই বিধানসভার গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যা আদতে পার্থর মন্ত্রিসভা ছাড়ারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।