Sambad Samakal

Indian Musium: জাদুঘরে বেপরোয়া গুলি কেন? সিপিকে কী জানালেন হামলাকারী?

Aug 6, 2022 @ 9:23 pm
Indian Musium: জাদুঘরে বেপরোয়া গুলি কেন? সিপিকে কী জানালেন হামলাকারী?

ভর সন্ধ্যায় পার্কস্ট্রিটে ভারতীয় জাদুঘরে বেপরোয়া গুলি চালানোর ঘটনায় অবশেষে হামলাকারীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। প্রায় দেড় ঘন্টার কৌশলী অভিযানে পুলিশ এই সাফল্য পেলেও হামলাকারীর গুলিতে মৃত্যু হয় এক সিআইএসএফ জওয়ানের, আশঙ্কাজনক আরও এক। তবে প্রায় ১৫ রাউন্ড গুলি চালিয়ে গ্রেফতার হওয়ার পরও নিরুত্তাপ ঘাতক ওই সিআইএসএফ জওয়ান। গ্রেফতারের পর পুলিশের গাড়িতে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময় সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা লক্ষ্য করে হাসি মুখে হাত নাড়তেও দেখা যায় তাঁকে। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর মানসিক স্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল জানিয়েছেন,
হামলাকারী সিআইএসএফ-এর হেড কনস্টেবল পদমর্যাদার এক জওয়ান। ডিসি সেন্ট্রালের নেতৃত্বে দেড় ঘন্টার চেষ্টায় এই অভিযান সফল হয়। হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করে প্রথমে দীর্ঘক্ষণ কথা বলা হয় হামলাকারীর সঙ্গে। তিনি পুলিশকে অস্ত্রহীন অবস্থায় জাদুঘরের ভিতরে ঢোকার শর্ত দিলে পুলিশ তা মেনে নেয়। ততক্ষণে সিআইএসএফ ব্যারাকে আশ্রয় নিয়েছেন ঘাতক। এরপর বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরে কাঁদানে গ্যাস সঙ্গে নিয়ে নগরপাল বিনীত গোয়েল সহ পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকরা ভিতরে ঢোকেন। পিছন থেকে গোপনে অস্ত্র হাতে তৈরি ছিল কমান্ডো বাহিনীও। ভিতরে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন হামলাকারী ওই জওয়ান। জানান, বেশ কিছু সমস্যার কথা। যেসব কারণেই মানসিক ভাবে বিদ্ধস্ত হয়ে তিনি গুলি চালিয়েছেন বলে জানান।
রীতিমতো কাউন্সেলিং করে তাঁকে আত্মসমর্পণে রাজি করায় পুলিশ।

কিন্তু কী কারণে এই এলোপাথাড়ি গুলি? এবিষয়ে এখনই স্পষ্ট করে কিছু জানাননি কলকাতার পুলিশ কমিশনার। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ বলে জনিয়েছেন তিনি। তবে সূত্রের খবর, দিন তিনেক আগেই ওই জওয়ানের বাবার মৃত্যু ঘটেছে। বাবার মৃত্যুর কারণে তিনি ছুটি চেয়েছিলেন। কিন্তু ছুটি না পেয়ে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। মানসিক অবসাদের থেকেই এই ঘটনা বলে মনে করছেন মনোবিদরা।

উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ এমএলএ হস্টেলের উল্টো দিকে ভারতীয় জাদুঘরের গেটের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। আচমকাই এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করেন ওই জওয়ান। নিমেষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পার্কস্ট্রিটে
তাঁকে বাধা দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন দুই জওয়ান। দ্রুত কলকাতা পুলিশের কর্মীরা ওই দুজনকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান। একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সুবীর ঘোষ নামে জখ অন্য জওয়ানের চিকিৎসা চলছে ট্রমা কেয়ার বিভাগে। তিনি সিআইএসএফের অস্ত্রভাণ্ডারের ইনচার্জ ছিলেন।

এদিকে ঘটনার পরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর রাত ৮টা নাগাদ ওই হামলাকারীকে নিরস্ত্র করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

Related Articles