তাঁকে একটানা তিন ঘন্টার বেশি জেরা করা যাবে না। আপাতত করা যাবে না গ্রেফতারও। বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীকে রক্ষা কবচ দিয়ে সিবিআইকে এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি বেঞ্চ জানায়, ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুবোধ অধিকারীকে সমস্ত নথি সিবিআই-এর কাছে জমা করতে হবে।
দুই বিচারপতি স্পষ্টই জানিয়েছেন, সাক্ষী হিসেবে কাউকে জেরা করতে গেলে ৭২ ঘণ্টা আগে তাঁকে নোটিশ দিতে হয়। অভিযুক্ত হিসেবে নির্দিষ্ট করা হলে সিবিআইকে ১০ দিন আগে নোটিশ দিয়ে তা জানাতে হবে। ১০ দিনের মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তারও করা যাবে না।
উল্লেখ্য, বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার একটি মামলায় সুবোধ অধিকারীকে বার বার নোটিশ দিয়ে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। নথি জমা দেওয়ার সময় চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানান সুবোধ। এর আগে আচমকাই বাড়িতে হানা দিয়ে দীর্ঘক্ষণ জেরা করার ঘটনাও আদালতের সামনে তুলে ধরেন সুবোধের আইনজীবী।
তৃণমূলের আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘১০ বছরের ডকুমেন্ট চাইবে, সময় দেবে না, তা তো হতে পারে না। সিবিআই মানে তো এমন নয় যে, সীমাহীন ক্ষমতা রয়েছে তাদের হাতে। সেটা হতে পারে না। আগে আমরা দেখেছি মদন মিত্র, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এদের ১৬০ নোটিশ দিয়ে ডেকেছে। তারপর ৮-৯ ঘণ্টা জেরা করে অ্যারেস্ট করেছে। যার জন্য আজ বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, ২৮ সেপ্টেম্বরের আগে কোনও নথি চাইতে পারবে না সিবিআই। ১৬০ সাক্ষী হিসেবে চাইলে ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিশ দিতে হবে। এবং ৩ ঘণ্টার বেশি জেরা করা যাবে না। আর অভিযুক্ত করা হলে তাঁকে নোটিশ দিতে হবে এবং নোটিশে অভিযুক্ত লিখতে হবে এবং নোটিশের পর ১০ পর্যন্ত তাঁকে অ্যারেস্ট করতে পারবে না।’