পরিকল্পনা ছিল, মঙ্গলবার সাঁতরাগাছি থেকে নবান্ন অভিযানে নেতৃত্ব দেবেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এদিন সকালে সাঁতরাগাছি পৌঁছতেই পারলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আলিপুরে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের সামনেই শুভেন্দুকে আটকে দেয় পুলিশ। আটকে দেওয়া হয় সঙ্গে থাকা বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও দলের রাজ্য নেতা রাহুল সিনহাকেও। প্রায় ১৫ মিনিট বাকবিতণ্ডার পর শুভেন্দুদের আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। কিন্তু এর মাঝেই ঘটে যায় অন্য এক ঘটনা। আচমকাই শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেন এক মহিলা পুলিশ। আর তাতেই অগ্নিশর্মা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
কথা কাটাকাটির মধ্যেই এদিন এক মহিলা পুলিশকর্মী শুভেন্দুর হাত ধরে টেনে বলেন, “আপনি চলুন স্যার।” এর পরেই গর্জে ওঠে শুভেন্দু। ওই মহিলা পুলিশ কর্মীকে শুভেন্দু বলেন, “একি আপনি আমাকে টাচ করছেন কেন?আপনি পুরুষ পুলিশ ডাকুন। ডোন্ট টাচ মি। ডোন্ট টাচ মাই বডি।” এগিয়ে আসেন পুলিশ কর্তা আকাশ মেঘারিয়া। তাঁকে সামনে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শুভেন্দু। পুলিশ কর্তাকে শুভেন্দু বলেন, “আপনারা কী ভেবেছেন? মহিলা পুলিশ দিয়ে আমাকে অপদস্ত করছেন কেন? আমার কাছে ফুটেজ রইল। হাইকোর্টে যাব।”