পুজোর মুখে রাজ্যবাসীকে বিকল্প কর্মসংস্থানের নতুন দিশা দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যুবসমাজকে দিলেন ‘‘একটু খেটে খাওয়ার’’ পরামর্শও। বৃহস্পতিবার খড়্গপুরের কর্মসূচি থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, ‘‘এক হাজার টাকা জোগাড় করে একটা কেটলি কিনুন আর মাটির ভাঁড় নিন। সঙ্গে কিছু বিস্কুট নিন। আসতে আসতে বাড়বে।’’
ব্যাখ্যা দিয়ে মমতা বললেন, ‘‘প্রথম সপ্তাহে বিস্কুট নিলেন। তার পরের সপ্তাহে মাকে বললেন, একটু ঘুগনি তৈরি করে দাও। তার পরের সপ্তাহে একটু তেলেভাজা করলেন। একটা টুল আর একটা টেবিল নিয়ে বসলেন। এই তো পুজো আসছে সামনে। দেখবেন লোককে দিয়ে কুলোতে পারবেন না! আজকাল এত বিক্রি আছে!’’
তেলভাজাকে নির্ভর করে কর্মসংস্থানের বিকল্প দিশার কথা এর আগেও বলতে শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর হাত ধরেই শিল্পের তকমা পেয়েছে ‘চপ তৈরি’। যা নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ আছড়ে পড়েছে। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে বিরোধীদের খোঁচা দিতেও ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘‘আমি আগে বললে অনেকে আমাকে টোন-টিটিকিরি করতেন। তাঁরা আজকে বুঝবেন।’’ তিনি মনে করিয়ে দেন, ‘‘কোনও কাজ জীবনে ছোট নয়। যত মানুষ মাটি থেকে উঠে আকাশ ছুঁয়েছেন, এটাই তাঁদের কাহিনি।’’
মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে গ্রামীণ কুটিরশিল্পকে নতুন মাত্রা দেওয়ার কথাও। গ্রামবাংলার খালে-বিলে ভেসে থাকা কচুরিপানাকে শুকিয়ে যে সুন্দর থালা তৈরি করা যায়, মনে করিয়ে দিয়েছেন সেকথা। পুজোর মরসুমে কাশফুল ‘এককাট্টা করে’ বালিশ এবং হালকা লেপে তুলোর বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের পরামর্শও দেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই কাশফুলগুলো পড়ে থাকে। দু’মাস পরে আর পাওয়া যায় না। কাশফুলগুলোকে এককাট্টা করে সেল্ফ হেল্প গ্রুপ এবং পাড়ার ছেলেমেয়েদের কাজে লাগিয়ে সংরক্ষণ করে তুলোর সঙ্গে মিশিয়ে কাজে লাগানো যেতে পারে।’’ তাঁর মতে, বাংলার গ্রামেগঞ্জে এমন অনেক জিনিস পড়ে রয়েছে, যা থেকে অনেক ব্যবসা হতে পারে।