১৮০৬ সালে স্বয়ং রাধাকৃষ্ণ মিত্র দর্জিপাড়ার মিত্রবাড়িতে দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন। রথের দিন কাঠামো পুজোর মাধ্যমে শুরু হয়ে যায় পুজোর প্রস্তুতি। এ বাড়ির প্রতিমার অন্যতম বৈশিষ্ট হল, তিন থাকে সুসজ্জিত সূক্ষ্ম কারুকার্য করা মঠমৌড়ির চালা। যা এককথায় আজ বিরল। চালির মধ্যেই থাকে ছোট দুটি কুলুঙ্গি। তাতে টোপর মাথায় বসেন শিব ও রামচন্দ্র। চালের দু ধরে শোভা পায় দুটি টিয়াপাখি। পুজো হয় বৃহন্নন্দিকেশ্বর পুরাণ মতে।
এই বাড়ির দুর্গাপুজোয় নৈবেদ্যের মধ্যে রয়েছে বিশেষ চমক। ঘি মাখিয়ে সূর্যের তাপে পাক করে রাখা হয় চাল-ডাল। এছাড়াও প্রস্তুত করা হয় আম ও কুলের আচার। পুজোর তিনদিনই কুমারী পুজোর রীতি রয়েছে মিত্রবাড়িতে। সন্ধিপুজোর সময়ে ১০৮টি পদ্মের পরিবর্তে ১০৮টি অপরাজিতা ফুল মাকে নিবেদন করা হয়। বিজয়ার বরণের সময়ে সব দেবদেবীর হাতে দেওয়া হয় পানপাতার শিরা কেটে বিশেষ কৌশলে প্রস্তুত করা ঝাড়খালি পান।