আলিপুরের শিল্পপতি পরিবারের গৃহবধু রশিকা জৈনের মৃত্যু সংক্রান্ত বিতর্কে নতুন মোড়। মৃতার ব্যাঙ্ক লকার থেকে গয়না ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী বেআইনি ভাবে সরিয়ে ফেলায় রশিকার পিতা সহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল কলকাতা পুলিশ।
উল্লেখ্য এই হাইপ্রোফাইল রহস্য মৃত্যু নিয়ে আইনি জটিলতা ও অভিযোগে মামলাটি আলোচনায় রয়েছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে রশিকার স্বামী কুশল আগরওয়ালকে গ্রেপ্তারও করে আইপিএস দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। বিতর্ক আবার অন্য মোড় নেয় যখন আরটিআইয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত রশিকার মোবাইলের চ্যাট থেকে তাঁর অন্য সম্পর্কের কথা প্রকাশ হয়। কলকাতা হাইকোর্টে এই বিষয়ে রশিকার পিতার মামলায় সাংসদ তথা প্রবীণ আইনজীবি কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সওয়ালের পর হাইকোর্ট আরটিআইয়ে প্রাপ্ত চ্যাট প্রকাশ করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
“আমরা আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিতে চাই। কিন্তু যেভাবে আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলেছে তাতে একটি বিষয় পরিস্কার যে রশিকার পরিবার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই মামলায় মূল বিষয়টিকে আড়াল করতে চাইছে। রশিকা তাঁর পূর্বের সম্পর্ক নিয়ে অবসাদে ভুগত -এটা যাতে প্রমাণ না হয় তাই এই ভাবে মামলায় নতুন বিতর্ক উঠে আসছে। আর কালিঘাট থানার দায়ের করা চার্জশিটের পর তো প্রমাণ হয়ে গেছে মহেন্দ্র জৈন ও তাঁর পরিবার অর্থ লোভেই ষড়যন্ত্র করে চলেছেন,” কুশলের দাদা রোহিত আগরওয়াল জানান।
উল্লেখ্য রশিকার মৃত্যুর পর তাঁর মৃত্যুর তথ্য গোপন করে রশিকার সব অলঙ্কার ও মূল্যবান সামগ্রী মহেন্দ্র জৈন হরিশ মুখার্জী স্ট্রিটের বেসরকারি ব্যাঙ্কের লকার থেকে সরিয়ে ফেলেন। তদন্তে তা প্রমানিত হওয়ায় মহেন্দ্র জৈন তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা জৈন ও মহেন্দ্র জৈনের পিতা শ্যমা সুন্দর জৈনের নামে চার্জশিট দিল কালিঘাট থানা।