অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে তাঁর মা ও স্ত্রীর মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। সেই কারণেই এবার সায়গলের মা ও স্ত্রীকে দিল্লিতে তলব করতে চায় এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুক্রবার আদালতে এমনই আবেদন জানানো হল ইডির তরফে। যদিও এই আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেছেন সায়গলের আইনজীবী। এদিন ফের সায়গলকে আটদিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট।
গরু পাচার মামলার তদন্তে সায়গলের কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছে ইডি। সেই কারণেইআদালতে এদিন ইডি-র তরফে আবেদন করা হয়েছে, যাতে সায়গলের মা ও স্ত্রীকে তাঁর মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়। এর আগেও সায়গলের আত্মীয়দের তলব করেছে ইডি। এরপরেই ইডির আবেদনকে মান্যতা দিয়ে এদিন সায়গলকে আরও আট দিন হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ বিচারক রঘুবীর সিং। শুধু স্ত্রী ও মা নয়, সায়গলের শালাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা। মোট আট জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান তাঁরা। ইডির তরফে এদিন আদালতে জানানো হয়েছে, সায়গলকে জেরা করে ইডির গোয়েন্দারা অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ মনীশ কোঠারি ও জাভেদ জাফরির নাম পেয়েছেন। উল্লেখ্য, অনুব্রতর হিসাব রক্ষক ছিলেন মনীশ কোঠারি।
অন্যদিকে, সায়গলের স্ত্রী ও মাকে দিল্লিতে তলব করার বিরোধিতা করেন তাঁর আইনজীবী। তাঁর যুক্তি, সায়গলের বাড়িতে রয়েছে তাঁর ২ বছরের একটি সন্তান এবং অন্যজন স্থায়ী প্রতিবন্ধী। শিশুরা তাদের মায়ের ওপর নির্ভরশীল। তাই বাচ্চাদের ছেড়ে সায়গলের স্ত্রীর পক্ষে দিল্লি পৌঁছনো সম্ভব নয় বলেই আদালতকে জানিয়েছেন তিনি।