জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়ে কার্যত আলোর মালাতে সেজে ওঠে হুগলির চন্দননগর। গোটা রাজ্যের মানুষ উৎসবের আবহে ভিড় জমান গঙ্গা পারের এই শহরে। কিন্তু জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের দিন সেই চন্দননগরেই নেমে আসবে ‘অন্ধকার’! শুক্রবার চন্দননগরে পুলিশ-প্রশাসন ও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি জানান, বিসর্জনের দিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন থাকবে গোটা শহরে। জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করার জন্য মজুত রাখা হচ্ছে জেনারেটর।
যদিও চন্দননগরে এই সমস্যা নতুন হয়। জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের সময়ে প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রার সময়ে ছিঁড়ে যায় বিদ্যুৎবাহী তার। যার জেরে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় শহরের সাধারণ নাগরিকদের। এই সমস্যা সমাধানে ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিক লাইন পাতার পরিকল্পনা নেওয়া হয় রাজ্যের পক্ষ থেকে। একশো কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই প্রকল্প ঘোষণার এক বছরের পরেও কাজ শুরু হয়নি। ফলে চলতি বছরেও ভোগান্তির শিকার হতে হবে চন্দননগরকে। যদিও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এদিন জানান, আগামী বছরের মধ্যে ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিক লাইন তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।