বর্তমানে যে কোনও দেশের জাতীয় নিরাপত্তার মেরুদণ্ড বলা চলে ‘রাডার’কে। তবে এক সময়ে নজরদারি নয়, বরং শত্রুদের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করতেই জন্ম নিয়েছিল ‘রাডার’ প্রযুক্তি! তিরিশের দশকে যুদ্ধবিমানকে কীভাবে শায়েস্তা করা যায়, সেই নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছিল ব্রিটেনে। কারণ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে দেখা গিয়েছিল মেশিন গান দিয়ে বোমারু যুদ্ধবিমানকে শায়েস্তা করা এক প্রকার অসম্ভব।
১৯৩৪ সালে তরিৎ-চুম্বকিয় তরঙ্গের ব্যবহারে যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার প্রযুক্তি তৈরি করার জন্য হাতে নেওয়া হয় ‘ডেথ রে’ খ্যাত মারণাস্ত্র প্রকল্প। তবে শেষপর্যন্ত ওই প্রকল্প ব্যর্থ হলেও, দেখা যায় বিমানের গা থেকে প্রতিফলিত হচ্ছে রেডিও তরঙ্গ। যার মাধ্যমে খুব সহজেই নির্ণয় করা যাচ্ছে বিমানের অবস্থান। পরবর্তীতে মার্কিন গবেষকরা সেই প্রযুক্তিরই নাম দেন ‘রাডার’ ব্যবস্থা। আজকের পৃথিবীতে যার ব্যবহার কার্যত বহুল।