অযোগ্যদের নিয়োগের জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ মামলায় বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজিরা দিয়ে রাজ্যের শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন দাবি করেন, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশেই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যাবিনেট। আইন বিভাগ ও এসএসসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করেই মুখ্যসচিবকে জানিয়ে ক্যাবিনেটে নোট পাঠিয়েছিল শিক্ষা দফতর।
আর রাজ্যের শিক্ষা সচিবের এই যুক্তি শুনে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পরেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন করেন, অযোগ্য বা বেআইনি ভাবে নিয়োগ পাওয়া চাকরিপ্রার্থীদের কাজে রাখার জন্য কী কোনও আইন রয়েছে? সংবিধান বিরোধী এই সিদ্ধান্ত কিভাবে ক্যাবিনেট নিতে পারে? এই বিষয়ে কেউ কি ক্যাবিনেটকে সতর্ক করেনি?
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, “সংবিধান বিরোধী কাজ হয়েছে। প্রয়োজনে গোটা ক্যাবিনেটকে পার্টি করে দিতে পারি। সকলকে আদালতে এসে উত্তর দিতে হবে। ক্যবিনেটকে বলতে হবে যে তাঁরা অযোগ্যদের সঙ্গে নেই। বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে। নাহলে নির্বাচন কমিশনকে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রতীক কেড়ে নিতে বলব। স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের মযার্দা কেড়ে নেওয়ার সুপারিশ করব। আমি মুখ্যমন্ত্রীর যন্ত্রণা বুঝতে পারি। কিছু দালাল যারা মুখপাত্র বলে পরিচিত, তারা বলছে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেই আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসা হচ্ছে। আদালত কি এগরোল, যে এখানে এলেই স্থগিতাদেশ পাওয়া যাবে!”
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগেও কড়া অবস্থান নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে কার্যত সোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু এদিন রাজ্য ক্যাবিনেট সহ তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে তাঁর কড়া মন্তব্য এক কথায় নজিরবিহীন।