Sambad Samakal

Dhaka Metro: মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিশেষ ছাড়! কবে চালু ঢাকা মেট্রো পরিষেবা?

Dec 2, 2022 @ 4:43 pm
Dhaka Metro: মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিশেষ ছাড়! কবে চালু ঢাকা মেট্রো পরিষেবা?

রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও দ্রুতগামী করতে এবার সেখানে মেট্রো রেল পরিষেবা চালু করছে বাংলাদেশ সরকার। জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের ‘বিজয় দিবস’-এর দিনই আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রীসাধারণের জন্য চালু হয়ে যাবে এই মেট্রো রেল পরিষেবা। ওইদিন ঢাকায় এই পরিষেবার উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রথম দফায় ঢাকার উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত, ৯ টি স্টেশনের মধ্যেই চলবে মেট্রো। এর জন্য মেট্রোর দশটি রেককে প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি রেকে থাকবে ৬টি করে বগি। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর কয়েক দিন ১০ মিনিট অন্তর মেট্রো চালানো হবে। তবে পরবর্তীতে সাড়ে তিন মিনিট অন্তর পরিষেবার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসনের। দ্বিতীয় দফায় মেট্রো ছুটবে ঢাকার আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। আগামী বছরের শেষে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

জানা গিয়েছে, আপাতত ভোর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত মিলবে মেট্রো পরিষেবা। মেট্রোরেলে যাত্রীদের সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা। আর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত গেলে এক জন যাত্রীর খরচ হবে ১০০ টাকা। প্রতি কিলোমিটার পিছু পাঁচ টাকা করে ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে। যাত্রীরা সাপ্তাহিক, মাসিক কিংবা পারিবারিক কার্ড ব্যবহার করলে বিশেষ ছাড় মিলবে। বিশেষ ছাড় থাকবে পড়ুয়াদের জন্যও। এছাড়াও গত সেপ্টেম্বর মাসেই বাংলাদেশের সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে নিহত বীর যোদ্ধাদের পরিবার প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখিয়ে বিনামূল্যে মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন।

ঢাকার মেট্রো রেল পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। তবে এ ব্যাপারে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা মিলেছে জাপানের তরফে। মূলত জাপানের প্রযুক্তিকৌশলীদের সাহায্য এবং বাংলাদেশের প্রযুক্তিবিদদের সহায়তায় সচল হচ্ছে ঢাকা মেট্রো। জাপানি চালকরাই আপাতত ঢাকার মেট্রো চালানোর দায়িত্বে থাকছেন। পাশাপাশি তাঁরা মেট্রো রেল চালানোর বিষয়ে বাংলাদেশের চালকদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছেন।

দুর্ঘটনা এড়াতে মেট্রোর রেললাইনের পাশে স্বয়ংক্রিয় পাঁচিল থাকবে। স্টেশনে ট্রেন থামার পর স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ট্রেনের দরজা একসঙ্গে খুলে যাবে। আবার নির্দিষ্ট সময় পর তা স্বয়ংক্রিয় ভাবে বন্ধও হয়ে যাবে।

Related Articles