শনিবার কাঁথির সভায় যাওয়ার পথে আচমকাই মরিশদা ৫ পঞ্চায়েত এলাকার একটি গ্রামে উপস্থিত হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই তাঁকে ঘিরে নিজেদের দুঃখ-দুর্দশার কথা জানান গ্রামবাসীরা। এরপরে সভায় এসে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও দলের অঞ্চল সভাপতিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের নির্দেশ দিলেন তিনি। এমনকী এই নির্দেশ না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন অভিষেক।
এদিন কাঁথির সভামঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, “আমি কাউকে না জানিয়েই মরিশদার গ্রামে গিয়েছিলেন। আসল পরিস্থিতিটা বোঝার জন্য। তপশালী মানুষের ওই গ্রামে গিয়ে কী দুর্দশা আমি দেখলাম। বৃষ্টি হলে একমাস এলাকায় জল জমে থাকে। বাড়িগুলোর জরাজীর্ণ অবস্থা, পানীয় জল নেই। এলাকার মানুষ আমায় জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, অঞ্চল সভাপতিকে বারবার বলেও কোনও লাভ হয়নি। মানুষের কাজ করার জন্যই আমরা নির্বাচিত হয়েছি। সেই কাজ না করতে পারলে, পদে থাকার কোনও যোগ্যতা নেই।”
এরপরেই প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন অভিষেক। এরসঙ্গেই অভিষকে বলেন, “যারা মানুষের কাজ করছেননা, তলায় তলায় বিজেপির দাদার হয়ে কাজ করছেন, তারা এবার পঞ্চায়েতে টিকিট পাবেনা। আমাদের কাছে সব রিপোর্ট আছে। দলের ওপর ভরসা রাখতে পারেন।” ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এদিন দলের নীচুতলার কর্মীদের কাছে কার্যত কড়া বার্তা দিতে চাইলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।