Sambad Samakal

Sarad Yadav: প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ যাদব

Jan 13, 2023 @ 12:25 am
Sarad Yadav: প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ যাদব

প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ যাদব। বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই আরজেডি নেতা। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। টুইট করে বাবার মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন মেয়ে সুভাষিণী যাদব। লিখেছেন, ‘‘বাবা আর নেই।’’

রাজ্যসভায় ৩ বার ও লোকসভায় ৭ বারের সাংসদ ছিলেন শরদ যাদব। বিহারের মধেপুরা থেকে চার বারের সাংসদ নির্বাচিত হন শরদ। ২০০৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জেডিইউয়ের জাতীয় সভাপতিও ছিলেন। তবে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে শরদকে।

১৯৪৭ সালের ১ জুলাই মধ্যপ্রদেশের বাবাই গ্রামে জন্ম শরদের। জবলপুর রবার্টসন কলেজ এবং গভর্নমেন্ট সায়েন্স কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা। জবলপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রিলাভ। তিনি ছিলেন একাধারে কৃষিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং ইঞ্জিনিয়ার। তবে জন্মভূমি মধ্যপ্রদেশ হলেও শরদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আবর্তিত হয়েছে বিহারকে ঘিরেই। তাঁর মেয়ে সুভাষিণী রাজা রাও ২০২০-র বিহার নির্বাচনের আগে কংগ্রেসে যোগ দেন। ছেলে শান্তনু বুন্দেলা ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনে পড়াশোনা করেন।

১৯৭৪ সালে প্রথম বার লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হন শরদ। জব্বলপুর উপনির্বাচনেথেকে জয়লাভ করেন। ১৯৭৭ সালে ফের জব্বলপুর থেকে জয়ী হন। ১৯৭৯ সালে জনতা পার্টি ভেঙে গেলে চরণ সিংহের শিবিরে চলে যান শরদ। ১৯৮১ সালে অমেঠী থেকে জিতে রাজীব গান্ধী লোকসভায় প্রবেশ করলে, লোকদলের টিকিটে প্রার্থী হওয়া শরদকে পরাজিত করেন তিনি। এর পর ১৯৮৪ সালে বদায়ুঁ থেকে লোকদলের প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন লোকসভা নির্বাচনে। তবে ১৯৮৯ সালে জনতা দলের প্রার্থী হিসেবে সেখানেই বিজয়ী হন।

তারপর থেকে মধেপুরা থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে শুরু করেন শরদ। ১৯৯১, ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৯ সালে ওই আসন থেকে জয়ী হন। ১৯৯৮ এবং ২০০৪ সালে তাঁকে পরাজিত করেন লালুপ্রসাদ যাদব। পরে লালুর রাষ্ট্রীয় জনতা দলের টিকিটেও ভোটে দাঁড়ান ওই কেন্দ্রে। বিজেপি-র হাত ধরলে নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয় শরদের। তার পর ২০১৮ সালে নিজের দল লোকতান্ত্রিক জনতা দল গঠন করেন শরদ। অল ইন্ডিয়া ব্যাওকওয়ার্ড অ্যান্ড মাইনরিটি কমিউনিটিজ এমপ্লয়িজ ফেডারেশনেরও প্রতিষ্ঠাতা শরদ যাদব।

Related Articles