শান্তিনিকেতনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্কে নয়া মোড়! সোমবারই রাজ্য সরকারের জমি সংক্রান্ত সমস্ত রেকর্ড অমর্ত্য সেনের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে কড়া বার্তা দেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। মঙ্গলবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা নিশানা করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের সামনে সাক্ষাৎকার দিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী দাবি করেন, “এই রাজ্যে সরকারি কাগজ কিভাবে তৈরি হয়, তা সবাই জানে। আর যে কাগজ দেখানো হচ্ছে, তা অপ্রাসঙ্গিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কাগজ দেখাচ্ছেন, সেটা অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেনের সময়কার। এরপরে ২০০৬ সালে অমর্ত্য সেনের নামে ওই জমি মিউটেশন করা হয়। বিঘাপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে কর দিতে হয়। অমর্ত্য বাবু সেই সময়ে ১.২৫ ডেসিবেল জমির কর দিয়েছেন। বাকি জমির কর দেননি। সেই সময়ে ১.৩৮ ডেসিবেলের কথা ওঠেইনি।”
এরপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, “অমর্ত্য বাবু ভুল বলছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভুল বলছেন। উনি যেভাবে আমাকে আক্রমণ করছেন, তাতে বিশ্বভারতী ও অমর্ত্য সেনের ক্ষতি হচ্ছে। এত কাদা ছোঁড়াছুড়ি না করে জমি মাপা হোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অমর্ত্য সেন সকলেই থাকুন, আমরাও থাকি।”