সুশ্বেতা ভট্টাচার্য
কাউন্সিলর মৌসুমী দাসের ব্যাবস্থাপনায় কলকাতা পুরসভার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডে আরও একদিন বাড়ল দুয়ারে পোস্ট অফিস পরিষেবা। অর্থাৎ সোম ও মঙ্গলবারের পর এলাকার মানুষের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উপলব্ধি করে বুধবার, ২২ মার্চও যোধপুর কলোনি উন্নয়ন পরিষদে মিলবে পোস্ট অফিসের পরিষেবা। যেখানে পোস্ট অফিসের সেভিংস বা অন্যান্য অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যে কোনও কাজের পাশাপাশি করা যাবে মোবাইল আধার লিঙ্কও।
কাউন্সিলর মৌসুমী দাস বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার পরিষেবা নিয়ে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাওয়ার কথা বলছেন। তাঁর সেই নির্দেশ ও ভাবনার বাস্তবায়নেই আমার এই উদ্যোগ। এই প্রথম নয়, কিছুদিন আগে আরও একবার ওয়ার্ডের অন্য এলাকায় এই দুয়ারে পোস্ট অফিস পরিষেবা দিয়েছি। এছাড়াও দুয়ারে সরকার এবং পুরসভার মাসিক স্বাস্থ্য শিবিরকেও নাগরিকদের দুয়ারে পৌঁছে দিতে নির্দিষ্ট কোনও এক জায়গায় শিবির না করে ওয়ার্ডের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে শিবিরের আয়োজন করে চলেছি। লক্ষ্য একটাই মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন, সরকারি সমস্ত পরিষেবাকে বাস্তবেই মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া।”
উল্লেখ্য, ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী দাসের ব্যবস্থাপনায় ২০ মার্চ, সোমবার থেকেই ওয়ার্ডের যোধপুর কলোনি উন্নয়ন পরিষদে শুরু হয়েছিল এই পরিষেবা। সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত এই শিবিরে ভারত সরকারের পোস্ট ও টেলিগ্রাফ দফতরের অফিসাররা উপস্থিত থেকে পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্ত পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকদের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করছেন। এছাড়াও মোবাইল ফোন ও আধার কার্ড নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আধার লিংক করিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। প্রথমে দু’দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার পর্যন্ত এই শিবির চলার কথা ছিল। কিন্তু কার্যত এই দু’দিনে দলে দলে মানুষ হাজির হন শিবিরে। এমনকী, এদিন কাউন্সিলর শিবিরে হাজির হতেই স্থানীয়রা তাঁর কাছে শিবিরের মেয়াদ আরও বাড়ানোর অনুরোধ করেন। কাউন্সিলরকে তাঁরা জানান, পরিষেবা নিতে ইচ্ছুক এখনও অনেকেই সুযোগ পাননি। ফলে নাগরিকদের আবদার মেনে এবং বাস্তবে মানুষের প্রয়োজন ও পরিষেবার গুরুত্ব বুঝে শিবিরের মেয়াদ আরও একদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন কাউন্সিলর মৌসুমী দাস। ফলে বুধবারও যোধপুর কলোনি উন্নয়ন পরিষদে পরিষেবা দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকবেন ভারত সরকারের ভারত সরকারের পোস্ট ও টেলিগ্রাফ দফতরের অফিসাররা। এলাকার মানুষের সুবিধার্থে এই উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের পোস্ট ও টেলিগ্রাফ দফতরের আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন কাউন্সিলর মৌসুমী।