জেতার জন্য ২০৫ রানের টার্গেট বেঁধে দিয়েছিল গুজরাত টাইটান্স। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুরুটা ভাল হয়নি কেকেআরের। দুই ওপেনার রহমানুল্লা গুরবাজ ১৫ ও নারায়ণ জগদীশন ৬ রান করে আউট হয়ে যান। তবে দুই ব্যাটার বেঙ্কটেশ আয়ার ও নীতীশ রানা জেতার আশাও জাগিয়েছিলেন। কিন্তু রশিদ খানের হ্যাটট্রিকে প্রায় খানখান হয়ে যাচ্ছিল কেকেআরের স্বপ্ন। আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন, শার্দূলরা আউট হয়ে গেলেন। ম্যাচ যখন প্রায় হাতের বাইরে, ঠিক সেই সময়ই হাল ধরলেন রিঙ্কু সিংহ। মনে করিয়ে দিলেন, ক্রিকেটে কিছুই অসম্ভব নয়। পর পর ৫ বলে ৫টি ছক্কা মেরে দলকে জেতালেন। রিঙ্কুর ঝড়ে উড়ে গেল গত বারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটান্স। এক ইনিংসে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজের নাম খোদাই করে নিলেন উত্তরপ্রদেশের এই ক্রিকেটার।
কলকাতাকে জিততে শেষ ৩০
বলে করতে হত ৫৬ রান। ব্যাট চলছিল বেঙ্কটেশের। কিন্তু অন্য প্রান্তে রিঙ্কু সিংহ শুরু থেকেই বড় শট খেলতে পারছিলেন না। চাপে পড়ে বড় শট মারতে গিয়ে ৮৩ রানের মাথায় আউট হয়ে যান বেঙ্কটেশ। আন্দ্রে রাসেলকেই তখন কলকাতার জয়ের একমাত্র কাণ্ডারি বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু আগের ৩ ওভারে ৩৫ রান খাওয়া গুরাতের রশিদ নিজের শেষ ওভারে গিয়ে যেন জ্বলে উঠলেন। পর পর তিন বলে রাসেল, নারাইন ও শার্দূল ঠাকুরকে আউট করে এ বারের আইপিএলে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। রশিদের হ্যাটট্রিকের পর কলকাতার জয়ের আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন সমর্থকরা।
এমন সময়ই ঘটল অঘটন। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৯ রান। যশ দয়ালের প্রথম বলে ১ রান নেন উমেশ যাদব। পরের ৫ বলে ৫টি ছক্কা মারলেন রিঙ্কু। শেষ বল মেরে আর তাকাননি তিনি। সোজা ছোটেন ডাগআউটের দিকে। উল্লাসে মেতে ওঠেন কেকেআরের ক্রিকেটাররা। অন্য দিকে গুজরাতের ক্রিকেটাররা যেন তখনও হার বিশ্বাস করতে পারছেন না। মাঠেই হতাশ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন গুজরাত বাহিনী।