সিঙ্গুরের জনসভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, জাতীয় দলের তকমা চলে যাওয়ার পরে তা ফিরে পেতে অন্তত চার বার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা শুভেন্দুকে প্রমাণ দেওয়ার চ্যালেঞ্জ করে মমতা জানান, প্রয়োজনে তিনি পদত্যাগ করবেন। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সেই প্রমাণ প্রকাশ করার কথা ছিল।
কিন্তু এদিন রাজ্য বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে শুভেন্দু বলেন, “এভাবে মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর টেলিফোনিক কথোপকথন প্রকাশ্যে আনা যায় না। একমাত্র বিচারব্যবস্থার নির্দেশে তা সম্ভব হতে পারে। তাই বলছি, উনি আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করুন। তখন আদালত ফোনের প্রমাণ চাইলে সরাসরি কল রেকর্ড প্রকাশের জন্য আবেদন জানাব।”
এরসঙ্গেই পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, অমিত শাহের কথাতেই রামনবমীর সময়ে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি হয়েছে। উনি প্রমাণ দিতে পারবেন’তো যে অমিত শাহের ইন্ধন ছিল! না হলে আদালতে কিন্তু পাল্টা মামলা হবে।” ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের জল্পনা, শেষপর্যন্ত কীসের চাপে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ দিতে পারলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী!