পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই উত্তেজনা ভাঙড়ে। বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষ দিনে সেই উত্তেজনা চরমে পৌঁছল। দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল এক আইএসএফ কর্মীর। জখম আরও চার।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত আইএসএফ কর্মীর নাম মহিউদ্দিন মোল্লা (২৪)। বাড়ি কাশিপুর থানার বিজয়গঞ্জ এলাকায়। ঘটনায় অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে উত্তপ্ত ছিল ভাঙ্গড় ২ নম্বর ব্লক অফিস ও সংলগ্ন এলাকা। আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দুষ্কৃতীরা টহল দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। আইএসএফের অভিযোগ, সকাল থেকেই তৃণমূলের বহিরাগত দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকার দখল নেয়। বিডিও অফিসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় মনোনয়ন জমা দিতে আসা আইএসএফ কর্মীদের। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আইএসএফ কর্মীরা। তখনই আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষ শুরু হয়। চলে বোমাবাজি ও গুলি। গুলিবিদ্ধ হয় আইএসএফ কর্মীরা। অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে পুলিশের সামনে দিয়েই মুখ বাঁধা দুষ্কৃতীরা মোটর সাইকেলে করে চলে যেতে থাক। তারপর আইএসএফ বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে পাল্টা আক্রমণ চালায় তৃণমূলের ওপরে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পাঁচটি গাড়িতে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে তৃণমূলের কর্মীদের নিয়ে আসা এই গাড়িগুলি। আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে আইএসএফের দিকে। বিডিও অফিসেও আইএসএফ ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জেলা পুলিশের বিশাল বাহিনী। নামানো হয় অতিরিক্ত বাহিনীও।