বাংলার পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল মোটামুটি স্পষ্ট গিয়েছিল মঙ্গলবার সন্ধের মধ্যেই। ভোট ফলের নিরিখে দেখা যাচ্ছে, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, মতুয়া হোক’বা রাজবংশী, তপশিলী থেকে আদিবাসী সর্বত্রই বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ককে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে তৃণমূল শিবির। সাংগঠনিক শক্তির নিরিখে উত্তরবঙ্গ বা জঙ্গলমহলের শক্তিশালী জেলাগুলোতেও উল্লেখযোগ্য ভাবে ভোট কমেছে বিজেপির। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সভাপতি বদলের কথা ভাবছেন শাহ-নাড্ডারা!
সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপির ঢিলেঢালা সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত হাই কমান্ড। রাজ্য নেতৃত্বের ওপরে কার্যত চরম ক্ষুব্ধ বিজেপির সেকেন্ড ইন কম্যান্ড তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোটে এই ভরাডুবির পরে খুব শীঘ্রই বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদে রদবদল হতে চলেছে। সুকান্ত মজুমদারের স্থানে আনা হতে পারে সঙ্ঘের আস্থাভাজন তথা বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের মতো জেলায় শেষ বিধানসভা ভোটে কার্যত নিরঙ্কুশ জয়ের মুখ দেখেছিল বিজেপি। কিন্তু পঞ্চায়েতে কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে সেই গেরুয়া গড়। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, মালদা জেলাতেও ফল আশানুরূপ হয়নি। পাহাড়ে একমাত্র সাংসদ থাকা সত্বেও পঞ্চায়েতে সম্পূর্ণ মুছে গিয়েছে বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভায় জেতা জঙ্গলমহলের ৫টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রায় সব জায়গাতেই বিজেপির হার হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের মতুয়া প্রভাবিত এলাকাতেও বিজেপির থেকে আম ভোটাররা যে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তা স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদে রদবদল কার্যত সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।