যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, জানতে চেয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোসের কাছে রিপোর্ট তলব করল রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশন।
শনিবার এই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে আনন্দ বোসের কাছে চিঠি দিয়েছে শিশু সুরক্ষা কমিশন। তদন্তে কী কী পাওয়া গেল, তার রিপোর্টও জানাতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশন জানিয়েছে, যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তারা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।
শিশু সুরক্ষা কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে বিতর্কিত পরিস্থিতিতে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুতে হস্টেলের কয়েক জন আবাসিকের কিছু কার্যকলাপ দায়ী বলেও শোনা যাচ্ছে। ওই আবাসিকদের কেউ কেউ আবার বেআইনিভাবে হস্টেলে থাকেন। কমিশন এই ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। পদাধিকার বলে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। তাঁকে কমিশনের তরফে একটি চিঠি দিয়ে উপযুক্ত তদন্তের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে যে পদক্ষেপ উচিত বলে রাজ্যপালের মনে হয়, তা-ও করতে অনুরোধ করা হয়েছে। তদন্তে কী মিলল, তার রিপোর্ট জানতে চেয়েছে কমিশন।
রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় শিশু সুরক্ষা কমিশন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও একটি চিঠি দিয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ করেছে পুলিশ, তার রিপোর্ট দেখতে চেয়েছে কমিশন। তাদের প্রশ্ন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হস্টেলে এই ধরনের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা কীভাবে ঘটল? যাদবপুরের হস্টেলে কোন কোন আবাসিক বেআইনিভাবে থাকেন, তাদের নামের সম্পূর্ণ তালিকা চাওয়া হয়েছে পুলিশের কাছে। কেন তাঁরা বেআইনি ভাবে হস্টেলে থাকছেন, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে এই তথ্য সম্বলিত একটি রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। হস্টেলের সিসিটিভি ফুটেজও দেখতে চেয়েছে কমিশন। তা থেকে কী তথ্য জানা গিয়েছে, পুলিশকে তা জানাতে বলেছে কমিশন।