আচমকাই বদল করা হয়েছে তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডলের সেল। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে সাত নম্বর সেল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তিন নম্বর সেলে। এবং পুরোটাই করা হয়েছে তাঁর আইনজীবী ও পরিবারকে অন্ধকারে রেখে। শুক্রবার আদালতে বিস্ফোরক এমনটাই দাবি করলেন অনুব্রতর আইনজীবী সম্পৃক্তা ঘোষাল। ফলে কাউকে কিছু না জানিয়ে কেন এই সেল বদল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এদিন রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি আদালতে আসতে পারেননি। ভিডিয়ো কনফারেন্সে তিনি শুনানিনে অংশ নেন। সবুজ পোশাক পরা অনুব্রতকে দেখে বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে, তাঁর শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, মাঝে একদিনের জন্য জেল হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে আপাতত স্থিতিশীল তিনি। বাবার অসুস্থতার কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন মেয়ে সুকন্যা।
উল্লেখ্য, শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক সমস্যার কথা জানিয়ে এর আগেও বারবার অনুব্রতর জামিন চেয়েছেন তাঁর আইনজীবী। শুক্রবার ফের জেল হেফাজতের মেয়াদ বেড়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিহাড় জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। অন্যদিকে, দিল্লি হাইকোর্টে চলছে অনুব্রতর জামিনের মামলা।
কিছু না জানিয়েই অনুব্রতর সেল বদল নিয়ে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁর আইনজীবী। জানা গিয়েছে, তিহাড়ের যে সাত নম্বর সেলে থাকতেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি, সেখানে সাধারণত আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় অভিযুক্তদের রাখা হয়। আর তিন নম্বর সেলে থাকেন সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা। সেক্ষেত্রে অনুব্রতকে কেন তিন নম্বরে নিয়ে যাওয়া হল, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, সায়গল হোসেন অনুব্রতর মেয়ে ও আইনজীবীকে জানিয়েছেন যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে একটা অর্ডার আসার পরই অনুব্রতর সেল বদল করা হয় ।