
মাত্র কয়েক বছর আগের কথা। বাজি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল নৈহাটি থানার মামুদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবক ও সংলগ্ন এলাকা। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল আস্ত একটা বাড়ি। মৃত্যু হয়েছিল চারজনের। আহত হয়েছিল বেশ কয়েকজন। মাঝে বয়ে গিয়েছে অনেকটা সময়। নৈহাটি থানা ভেঙে গড়ে উঠেছে নতুন শিবদাসপুর থানা। সেদিনের সেই মামুদপুর এলাকা আজ শিবদাসপুর থানার অন্তর্গত। বাজি বিস্ফোরণের সেই ক্ষত এখনও দগদগে থাকলেও অভিযোগ, প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে দেবক ও সংলগ্ন এলাকায় আজও লুকিয়ে চুরিয়ে চলছে এই বাজির কারবার। আর পুজোর মুখে ওসির দায়িত্বে এসেই বেআইনি এই বাজির কারবারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বড়সড় সাফল্য পেলেন সমীর দাস। বাজেয়াপ্ত করলেন ৫৬০ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি। এছাড়াও দুটি মোটর বাইক এবং একটি ইঞ্জিন মোটর ভ্যানও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানালেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি নর্থ জোন শ্রীহরি পাণ্ডে।
শিবদাসপুর থানা সূত্রে খবর, সোমবার, বিশ্বকর্মা পুজোর বিকেলে গোপন সূত্রে বাজি পাচারের খবর মেলে। এরপরেই বাহিনী নিয়ে অভিযানে বেরিয়ে পড়েন শিবদাসপুর থানার ওসি সমীর দাস নিজে। শিবদাসপুরে আসার আগে দক্ষিণেশ্বর থানার পিসিওসির দায়িত্বে থাকলেও এর আগে টানা বেশ কয়েকবছর সাফল্যের সঙ্গে অবিভক্ত নৈহাটি থানার পিসিওসির দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ফলে এলাকার অলিগলি তাঁর হাতের তালুর মতোই চেনা। সোমবার তাই খবর পেতেই আর সময় নস্ট করেননি। খবর ছিল, ভবাগাছি থেকে কুলিয়াগড় বাসস্ট্যান্ডের পথে পাচার হচ্ছিল বাজি। সেইমতোই বাহিনী নিয়ে ভবাগাছি উত্তরপাড়া রোডে দুষ্কৃতীদের পথ আটকান তিনি। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে দুষ্কৃতীরা। দুপক্ষের লড়াইয়ের মাঝে দুষ্কৃতীরা দুটি মোটরবাইক এবং বাজি বহনকারী ইঞ্জিন মোটর ভ্যান সমেত নিষিদ্ধ সমস্ত বাজি ফেলে চম্পট দেয়।