বিদ্যাসাগরের স্মৃতিবিজড়িত সংস্কৃত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা সবথেকে বড় ভুল! উপাচার্যরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতেই ব্যস্ত! কেউ সংস্কৃত ভাষাই জানেনা! মঙ্গলবার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৪ তম জন্মদিবস উপলক্ষে যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলের আলোচনাসভায় এসে এমনই বিস্ফোরক সব মন্তব্য করলেন পুরাতত্ত্ববিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী।
যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার, যোধপুর গার্লস স্কুল, কাটজুনগর হাইস্কুল ও টালিগঞ্জ গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও।

এদিনের অনুষ্ঠানে বিদ্যাসাগরের অবদান সম্পর্কে বলতে গিয়ে নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী বলেন, “ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে সংস্কৃত কলেজের নাম। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার কাজে আমি একক সদস্যের কমিশন হিসেবে কাজ করেছি। কিন্তু আমি আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি, এটা আমার জীবনের সবথেকে বড় ভুল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতেই ব্যস্ত। তাঁদের সংস্কৃত বা পালি ভাষা সম্পর্কে কোনও জ্ঞান নেই। ফলে এই বিষয়ে নতুন নতুন কাজের বিষয়ে কোনও উৎসাহও নেই।”
যোধপুর বয়েজ স্কুলের পড়ুয়াদের সামনে ছোট ছোট মজার গল্পের ছলে বিদ্যাসাগরের অবদানের কথা তুলে ধরেন মূল বক্তা নৃসিংহপ্রসাদ। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পোষিত ধারণা আরও সম্প্রসারিত করার ওপরেও জোর দেন তিনি।