অবশেষে বরফ গলল। তৃণমূলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনো ঘোষণা না হলেও সূত্রের খবর, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের প্রধান সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে অভিমান ভুলে ফের লোকসভার প্রার্থী হতে রাজি হয়েছেন অভিনেতা-সাংসদ দেব ওরফে দীপক অধিকারী।
সম্প্রতি ঘাটালের সাংসদ দেব সংসদে দাঁড়িয়ে সংসদে তাঁর শেষ দিন বলে মন্তব্য করেন। যা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে জল্পনা ছড়ায়। কিন্তু এর মধ্যেই শনিবার বিকেলে ঘটনা নতুন মোড় নেয়। এদিন বিকেলে প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে বৈঠক করেন ঘাটালের সাংসদ। সেখান থেকে বেরিয়ে সটান তিনি কালীঘাটে ৩০ বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। নেত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকও করেন। কালীঘাট সূত্রে খবর, বৈঠকে নিজের অভিমানের কথা নেত্রীকে জানান দেব। ক্ষোভ উগরে দেন প্রাক্তন বিধায়ক শংকর দলুই ও এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। নেত্রীকে দেব জানান, মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা এক মন্ত্রীর অসহযোগিতার কারণেই তাঁর প্রযোজিত একাধিক ছবির বিপণনে সংকট তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, সাংসদের সামনেই তৎক্ষণাৎ ওই মন্ত্রীকে ফোন করে ধমকান মুখ্যমন্ত্রী। বুঝিয়ে দেন, এই আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শংকর দোলুইয়ের একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, সাংসদ কোটায় কোনো কাজ করাতে গেলে দেবের লোকজনকে কাটমানি দিতে হয়। এই ঘটনার পর যথেষ্ট ক্ষুব্ধ দেব ঘনিষ্ট মহলে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। প্রকাশ্যে অভিযোগের সত্যটাও অস্বীকার করেছেন ঘাটালের সাংসদ। এদিন নেত্রীর সঙ্গে এই বিষয় নিয়েও তাঁর কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। এবং নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই প্রাক্তন বিধায়ককে সতর্কও করেছেন বলে সূত্রের খবর। দু দফায় এই দীর্ঘ বৈঠকের পর সন্ধ্যায় কালীঘাট থেকে দেবকে হাসি মুখেই বেরোতে দেখা যায়। এবং তারপরই ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, ঘাটলে ফের লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে রাজি হয়েছেন নায়ক দেব।