সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে এবার ফের বিস্ফোরক বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়। সাম্প্রতিক অতীতে তাপস-সুদীপ দ্বন্দ্ব তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ালেও নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশে বাকযুদ্ধে রাশ টানেন দু’পক্ষই। তবে এবার কুণাল ঘোষের পাশে দাঁড়িয়ে ফের উত্তর কলকাতার সংসদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তাপস রায়। ভুবনেশ্বর এইমসে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্ট থেকে যে বিপুল পরিমাণ টাকা দেওয়া হয়েছিল, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে তার তদন্ত দাবি করেছেন কুণাল। শনিবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে ইডি ও সিবিআই ডিরেক্টরদের ট্যাগ করে এমন দাবি করেছেন কুণাল। তারপরই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কুণালের সেই দাবিকে সমর্থন করেছেন তাপস রায়। আদতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন বলেও অভিযোগ তাপসের। তিনি বলেন, “কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি বা তৃণমূল কংগ্রেস, যে কেউ যে কোনো রাজনৈতিক দল করতে পারেন। সেটা অপরাধের নয়। কিন্তু যদি কেউ একদলে থেকে অন্যদলে সেখানকার তথ্য পাচার করে, সেটা শুধু অপরাধ নয়, সেটা পাপ। আর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই পাপটাই করে চলেছেন।” তাঁর আরও অভিযোগ, “দলের উঁচু থেকে নীচুতলার সবাই সব জানে।”
বরানগরের বিধায়কের বিস্ফোরক দাবি, “বাড়িতে ইডি পাঠিয়ে তাঁকে হেনস্থার ছক তৈরি হয়েছিল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেই। তাঁর বাড়িতেই তৈরি হয়েছিল ইডি হানার নীল নকশা।” কিন্তু কেন? উত্তরে তাপস রায় বলেন, “এবার উত্তর কলকাতায় তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে আমার নাম তুলছেন কেউ কেউ। সেই কারণেই প্রতিহিংসামূলক এই আচরণ হয়তো।” এত বিতর্কের পরেও কি আসন্ন লোকসভা ভোটে উত্তর কলকাতা কেন্দ্রে আবার তৃণমূলের টিকিট পাবেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়? তাপস রায়ের সাফ উত্তর, “জানি না। দল যা ভালো বুঝবে করবে। তবে এটুকু বলতে পারি যে, এবার ভোটে দাঁড়ালে গো-হারা হারবেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।”