ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালের’ জেরে কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে কার্যত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন সিইএসসি সহ রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা, সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
এদিন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ জানান, “অনেকেই সমালোচনা করছেন। কিন্তু বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা কার্যত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক রেখেছেন। একটি সংবাদমাধ্যমে দেখলাম, বলছে গাছ পড়েছে কিন্তু এখনও গাছ কাটা শুরু হয়নি। কিন্তু পরক্ষণেই বলছে, আমরা নিজেরাও একটা শেডের তলায় দাঁড়িয়ে আছি। শুধু সমালোচনা করে লাভ নেই। সকলেই পরিবার-পরিজন রয়েছে, তার মধ্যেও জীবন হাতে নিয়ে কাজ করেছেন বিদ্যুৎকর্মীরা। তাই বিদ্যুৎকর্মীদের সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা এখানে বসে সমস্ত সহযোগিতা করেছি, কিন্তু জলকাদায় নেমে ঝড়ের মধ্যে বিদ্যুৎকর্মীরা আক্ষরিক অর্থে প্রাণ হাতে নিয়ে কাজ করেছেন। তাঁদের জন্যই এই দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়েছে। “
প্রসঙ্গত, এদিন সিইএসসি’র তরফে জানানো হয়েছে, শহর কলকাতায় রবিবার সন্ধ্যে ৬টা থেকে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট ১১টি ইলেকট্রিক পোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৩টি বদলানো সম্ভব হয়েছে, ৮টি বদলানোর কাজ এখনও চলছে। ৭০টি স্থানে ওভারহেড তার ছিঁড়ে পড়েছিল। যার মধ্যে ৪৯টি স্থানে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে, ২১টি স্থানে এখনও কাজ চলছে। ২৪টি স্থানে ওভারহেড তারের ওপরে গাছ ভেঙে পড়েছিল। যার মধ্যে ১৬টি স্থানে পরিষেবা ঠিক হয়েছে, ৮টি স্থানে এখনও পরিষেবা স্বাভাবিক করার কাজ চলছে।