প্রধানমন্ত্রী পদে তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার পরেই বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নয়া দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদি। শনিবার হায়দ্রাবাদ হাউসে মুখোমুখি হলেন মোদি-হাসিনা। দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গেই এদিন দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা তিস্তা জলবন্টন চুক্তি নিয়েও আলোচনা হয় দু’দেশের রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে।
বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতকে বাংলাদেশের ‘নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত বন্ধু’ হিসেবে বর্ণনা করেন। পাশাপাশি তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়েও যে এদিন আলোচনা হয়েছে, তাও জানান হাসিনা। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ভারত সরকারের তরফে একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে যাবে বলো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিনিধি দলের জমা দেওয়া রিপোর্টের ওপরে ভিত্তি করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে খবর।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমাদের বৃহত্তম উন্নয়ন সঙ্গী বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশের স্বার্থকে ভারত অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখবে।” তথ্য-প্রযুক্তি, রেল যোগাযোগ, মহাকাশ গবেষণা, পরমাণু গবেষণার ক্ষেত্রে দু’দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা আরও উন্নর করার বিষয়েও জোর দেন মোদি।