সোমবার দুপুরে নবান্নে রাজ্যের পুরসভা ও মিউনিসিপ্যালিটিগুলোকে নিয়ে রিভিউ বৈঠকে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই বৈঠক থেকেই পুরসভা ও মিউনিসিপ্যালিটিগুলোর কাজ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন তিনি। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর চরম ভর্ৎসনার মুখোমুখিও হল বিভিন্ন পুরসভা ও সরকারি দফতরের আধিকারিকরা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মানুষ যদি ঠিকমতো পরিষেবা না পান, তাহলে পুরসভা, পঞ্চায়েত, মিউনিসিপ্যালিটি রেখে লাভ কী! হাওড়া পুরসভার জঘন্য অবস্থা। ছোট ছোট রাস্তায় বড় বড় বাড়ি হয়ে যাচ্চে। সরকারি খালি জমি থাকলেই লোক বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জঞ্জাল অপসারণ হয় না। রথীন মেয়র থাকাকালীন হাওড়াটাকে একদম শেষ করে দিয়ে গেছে। বালি পুরসভারও একই অবস্থা। একটা টাকা খাওয়ার চক্র তৈরি হয়ে গিয়েছে। যে আছে, সে ভাবছে করে নিই। ভাবছে কেউ বুঝতে পারবে না। এবার কি আমায় রাস্তায় ঝাড়ু দিতে নামতে হবে! এটা চলতে পারে না।”
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে পড়ে কলকাতা ও লাগোয়া বিধাননগর পুরসভাও। মমতা বলেন, “কলকাতায় গড়িয়াহাট, হাতিবাগানের কি অবস্থা। সব নোংরা করে রেখে দিচ্ছে। কেউ দেখার নেই। বিধাননগরে জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। সুজিত বসু কম্পিটিশন করে নিজের লোক সবাচ্ছে। ছবি দেখালো লজ্জা পাবে। বড় বড় সব অফিস বানিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন দফতর, পর্ষদ লোক রেখে দিচ্ছে। কেউ হাত টিপছে, কেউ পা টিপছে। আজ থেকে সমস্ত টেন্ডার করার ক্ষমতা নিয়ে নিচ্ছি। কেন্দ্রীয় ভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়া হবে।”