শ্যামনগরের কাউগাছিতে আক্রান্ত বিজেপির মহিলা কর্মী। বুধবার বিবস্ত্র করে তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। আক্রান্ত মহিলা বিজেপি কর্মী ব্যারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শ্যামনগরের কাউগাছি এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা সক্রিয় বিজেপি কর্মী। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু তিনি সেসব পাত্তা না দিয়ে বিজেপির হয়ে কাজ করে গিয়েছেন। ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশের পর তাঁর ওপর তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এমনকী, তাঁকে একঘরে করে দেওয়া হয়। ফলে স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে সমস্যায় পড়েন তিনি। আতঙ্কে স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়ে মেয়ের। এর মধ্যেই বুধবার পাড়ার ট্যাপ কল থেকে তিনি জল আনতে যান। সেসময় পাড়ার অন্যরা সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন। সকলেই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক। অভিযোগ, কলে জল নিতে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। শুরু হয় বচসা। এরপরই তাঁকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ধারাল অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। গল গল করে তাঁর মাথা কেটে রক্ত ঝরতে থাকে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে, বাড়ির লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্যনেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, “দলীয় ওই কর্মীকে ভোটের পর থেকে তৃণমূল একঘরে করে রেখেছিল। বিজেপি করার অপরাধেই এই হামলা। আমরা দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।” যদিও জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তবে এটা পারিবারিক কোনও গন্ডগোলের জের। পরে তাতে রাজনীতির রং লাগানো হয়েছে।” তাঁর দাবি, “তৃণমূলকে বদনাম করতেই বিজেপি এসব করছে।”