মুম্বইগামী হাওড়া-সিএমএসটি এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়। উদ্ধারকাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত অন্তত দু’জনের মৃত্যু ও ২০ জনের আহত হওয়ার খবর সামনে এলেও এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এরমধ্যেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আহত ও নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানান তিনি। পাশাপাশি মাত্র দেড় মাসে ঘটে যাওয়া তিন রেল দুর্ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এনডিএ এবং ইউপিএ আমলে রেলমন্ত্রী থাকা মমতা। কেন্দ্রের বর্তমান মোদি সরকারকে বিঁধে তিনি লেখেন, “আমি প্রশ্ন করতে চাই, এটাই কি সরকার চালানোর নমুনা?” বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর প্রশ্ন, “প্রতি সপ্তাহে দুঃস্বপ্নের এই ধারাবাহিকতা, রেললাইনে এই মৃত্যুমিছিল—কত দিন আর আমরা সহ্য করব? সরকারের উদাসীনতা কি শেষ হবে না?”
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৭ জুন উত্তরবঙ্গের চটেরহাট এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। যে লাইন দিয়ে ওই এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলছিল, একই লাইনে চলার অনুমতি পাওয়া একটি মালগাড়ি পিছন থেকে এসে সজোরে ধাক্কা মারে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে। ধাক্কার জেরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের একাধিক কামরা উঠে পড়ে মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপর। লাইনচ্যুত হয় মালগাড়ির কামরাও। কাঞ্চনজঙ্ঘার গার্ড এবং মালগাড়ির চালক-সহ মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় ৫০ জন। তার ঠিক একমাস পরে, গত ১৮ জুলাই উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় চণ্ডীগড় থেকে ডিব্রুগড়গামী ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের অন্তত ১০-১২টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। এই দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়। তারও আগে ২০২৩ সালের ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়েছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসও। দুর্ঘটনার অভিঘাতে একটি মালগাড়ির কামরার উপরে উঠে গিয়েছিল করমণ্ডলের ইঞ্জিন। সেই দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যুর ক্ষত আজও দগদগে।