কেএমডিএ-এর অধীনে থাকা রবীন্দ্র সরোবর লেক ‘কলকাতার ফুসফুস’। একসঙ্গে এত পরিমাণ গাছের সমাহার সম্ভবত শহর কলকাতার আর অন্য কোথাও দেখা যায়না। আর ‘অপরিকল্পিত’ উন্নয়নের কাজের জন্য সেই লেকের জলেই নাকি ‘সলিলসমাধি’ হচ্ছে ফলন্ত গাছের! এমনই অভিযোগ পরিবেশপ্রেমীদের।
জানা যাচ্ছে, রবীন্দ্র সরোবর লেকের মধ্যে হাঁটার জন্য তৈরি পেভমেন্টের পাথর পরিবর্তনের কাজ চলছে বেশ কয়েক দিন ধরেই। খানিকটা হেলে পড়া একটা বিশাল গাছের গোড়ায় ‘অপরিকল্পিত’ ভাবে জমা করে রাখা হচ্ছিল পুরনো পাথর। বারবার কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হলেও, সরানো হয়নি পাথর। ফলে এদিন সকালে লেকের জলে পড়ে যায় একটি বিরাট ফলন্ত গাছ, কার্যত ‘সলিলসমাধি’ হয়। এরপরেই কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন পরিবেশপ্রেমীরা।
পরিবেশ-প্রযুক্তিবিদ সৌমেন্দ্র মোহন ঘোষ জানান, “আমরা বরাবর লেকের মধ্যে পাথর বা কংক্রিটের কাজের বিরুদ্ধে। লেকের ধারে লাগাতার কংক্রিটের কাজ করার জন্যই গাছের এই অবস্থা। কখনও পাথর বসানো হচ্ছে, কখনও তোলা হচ্ছে। আর গাছগুলো মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। লেকের জলে সলিলসমাধি হচ্ছে। অবিলম্বে ওই গাছটিকে পুনঃস্থাপনের জন্য কেএমডিএ-কে উদ্যোগ নিতে হবে। আর লেকের ভেতরে যেকোনও রক্ষাবেক্ষণ সংক্রান্ত কাজ করার সময়ে, গাছ ও প্রকৃতি সম্পর্কে সচেতন থেকে পরিকল্পনা করতে হবে।”